যুক্তরাজ্যের প্রিন্স উইলিয়াম স্ত্রী কেইটের ক্যান্সার নির্ণয়ের পর প্রথমবারের মতো জনসাধারণের সামনে

Your browser doesn’t support HTML5

প্রিন্স উইলিয়ামকে তাঁর স্ত্রী কেইটের ক্যানসার ধরা পড়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গেছে। এর ফলে রাজকীয় কর্মকাণ্ড চালানর জন্য রাজপরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়ল। রাজা তৃতীয় চার্লস এবং কেইট দুজনেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে জনসাধারণের মুখোমুখি হওয়ার মতো দায়িত্বগুলো থেকে নিজেদেরকে বিরত রেখেছেন।

বৃহস্পতিবার একটি উদ্বৃত্ত খাদ্য পুনর্বন্টন কেন্দ্র এবং সংস্থাটির পরিষেবার অধীনে এক যুব ক্লাবে উইলিয়ামকে প্রথমবারের মত দেখা গেছে। সেখানে, তিনি ক্ষুধার্ত মানুষদের অভাবের প্রয়োজন এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর উদ্দেশ্যে খাদ্যের অপচয় কমানোর প্রচেষ্টা তুলে ধরেন।

প্রিন্সেস অফ ওয়েলস কেইট ২২শে মার্চ জানিয়েছিলেন তিনি অনির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারপর থেকে প্রিন্স উইলিয়ামও প্রকাশ্য ও নিয়মিত দায়িত্ব পালন থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলেন।

চার্লস এবং কেইট স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে জানুয়ারী থেকে জনসাধারণের দৃষ্টির বাইরে থাকাকালীন, রানী ক্যামিলা, প্রিন্সেস অ্যান এবং রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের সাথে যুক্ত অসংখ্য অনুষ্ঠান এবং পুরষ্কার বিতরণে উপস্থিত থাকার হাল ধরেছিলেন।

প্রস্টেট-জনিত রোগের কারণে চিকিৎসাধীন থাকার দু'সপ্তাহ পর, ৫ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হয়েছিল যে ৭৫ বছরের চার্লস একটি অনির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, পেটের অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পুত্রবধূ কেইটেরও ক্যান্সার ধরা পড়ে।

লন্ডনের দক্ষিণ-পশ্চিমে সারেতে অবস্থিত উদ্বৃত্ত খাদ্য বিতরণ দাতব্য সংস্থাটি পরিদর্শনের সময়, উইলিয়াম রান্নাঘরে এবং তারপর ডেলিভারির জন্য ভ্যানে প্রস্তুত করা খাবার লোড করতেও সাহায্য করেন।