মঙ্গলবার সৌদি আরব ও পাকিস্তান যৌথ ভাবে গাজায় অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে । সৌদিরা ইসরাইলের
উপর ইরানের সাম্প্রতিক আক্রমণের কথা উল্লেখ না করেই এই অঞ্চলে উত্তেজনা হ্রাসের কথা বলেছেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফায়সাল বিন ফারহান আল সৌদের নেতৃত্বে সোমবার একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল দু দিনের সফরে পাকিস্তান পৌঁছায়। তাদের সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানে বিনিয়োগের সুয়োগ খুঁজে পাওয়া।
এই সংক্ষিপ্ত সফর শেষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রামন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আল সৌদ গাজায় জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার বৈরিতার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান। তিনি ফিলিস্তিনিদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় জীবনহানির কথা উল্লেখ করেন।
আল সৌদ বলেন “ এই পরিস্থিতি মেনে নেয়া যায় না । এটি আন্তর্জাতিক নিয়মের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। আমাদের এখনই অস্ত্রবিরতি করতে হবে”।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “ বাস্তবতা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের দায়িত্ব পালন করছে না। এই হত্যাকান্ড বন্ধ করতে আমাদের আরও কিছু করতে হবে”।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন তিনি সফররত সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গাজার যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
দার বলেন, “ অবিলম্বে ও নিঃশর্তে অস্ত্রবিনতির ব্যাপারে আমরা উভয়ই সহমত”।
ইসরাইলের নাম উল্লেখ না করেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী গাজার পরিস্থিতিকে গণহত্যা বলে ঘোষণা করেন এবং জবাবদিহিতার আহ্বান জানান।
এই দু জন শীর্ষ কুটনীতিক ফিলিস্তিনিদের কাছে কিনা বাধায় ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের কথা বলেন।তবে কোন কর্মকর্তাই হামাসের হাতে এখনও বন্দি ১০০ জনের বেশি পণবন্দির মুক্তির কথা বলেননি।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীই ইসরাইলে ইরানের হামলার বিষয়ে নিশ্চুপ ছিলেন।