যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন সোমবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাচ্ছিলেন, তখন সবার চোখ ছিল ইরানের ওপর, যারা সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক হামলা চালায়।
এই হামলা একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের উদ্বেগকে উস্কে দিয়েছে। এটি এমন একটি পরিস্থিতি যা পরিকল্পিত ওভাল অফিসের বৈঠকের ওপর শংকার ছায়া ফেলেছে। ওই বৈঠকে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে তাদের পারস্পরিক লড়াই, অর্থনৈতিক সমস্যা এবং জ্বালানি স্বাধীনতা ও আধুনিকীকরণের দিকে ইরাকের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
বাইডেনের সাথে বৈঠকের পর দুই নেতা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “দুই নেতা ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্থায়ী কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ২০০৮ সালের যুক্তরাষ্ট-ইরাক কৌশলগত কাঠামো চুক্তির অধীনে ব্যাপক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছেন।”
এদিকে হামলার আগে ইরান স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বলে যে খবর বেরিয়েছে তার বিরোধিতা করেছেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কার্বি বলেন, “আপনি কি এমন একটি বিশ্বের কথা কল্পনা করতে পারেন, যেখানে ইরান ফোন করে বলবে, ‘হেই, আমরা ৩০০ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলকে তছনছ করার চেষ্টা করতে যাচ্ছি। আমরা শুধু আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম যে এটি হতে যাচ্ছে। এবং হ্যাঁ, এই অস্ত্র দিয়ে আমরা এখানে আঘাত করতে যাচ্ছি।’”
তিনি বলেছেন, “আমি দুঃখিত। এটা ঘটেনি।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন,ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া 'ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত’ এবং ‘আমরা এটি তাদের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।'
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিমান হামলাকে ব্যর্থ হিসেবে অভিহিত করলেও ইরাকের নেতা স্বীকার করেছেন, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার সংঘাত এ অঞ্চলে বড় উদ্বেগের বিষয়।
ইরাকে কয়েক দশকের যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পৃক্ততার পর দুই দেশের মধ্যে একটি নাজুক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। ইরাকের উত্তরাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বিধ্বংসী সম্পদ ইরানের কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ব্যবহার করা হয়েছিল।
বাইডেন বলেন, শান্তি রক্ষায় ইরাকের ভূমিকা রয়েছে।