ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১৯ জন নিহত, দুইজন নিখোঁজ

ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি (বিএএসএআরএনএএস) প্রকাশিত এই হ্যান্ডআউট ছবিতে দক্ষিণ সুলাওয়েসির তানা তোরাজায় একটি ভূমিধসের জায়গায় উদ্ধারকারীরা একটি বডি ব্যাগবহন করছেন। ১৪ এপ্রিল, ২০২৪৷

মধ্য ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের পর অন্তত ১৯ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার প্রধান সুলাইমান মালিয়া জানান, শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের তানা তোরাজা রিজেন্সির দুটি ভূমিধস-বিধ্বস্ত গ্রাম থেকে মৃতদেহগুলো নিয়ে আসা হয়। এছাড়া, দুইজন জীবিত ব্যক্তিকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

মালিয়া রবিবার এএফপিকে বলেন, "এ ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৪ জন দক্ষিণ মাকাল এলাকায় মারা যান। অন্য ১৫ জন নিহত হয়েছেন মাকাল এলাকার বিভিন্ন গ্রামে।"

তিনি আরো বলেন, "বর্তমানে, আমরা আরো হতাহত ব্যক্তিদের সন্ধান করছি।" এখন পর্যন্ত দুই ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে, সম্ভবত ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপের নিচে তারা চাপা পড়েছে; তিনি আরো জানান।

মালিয়া যোগ করেন, টানা তোরাজা এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে বেশ কিছুদিন ধরে বিরামহীন ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাত একেবারেই থামেনি।

তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত আবাসিক এলাকার মাটি ক্ষয় হয়। এর ফলে ভূমিধস হয়; যা বসত বাড়িগুলোকে চাপা দেয়।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ভূমিধসের প্রবণ হয়ে উঠে। আর, বন উজাড় করার কারণে কিছু এলাকায় ভূমিধস মারাত্মক আকার ধারণ করে। এছাড়া, দীর্ঘ সময় ধরে চলা প্রবল বৃষ্টির ফলে দ্বীপপুঞ্জের কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দেয়।

গত মাসে সুমাত্রা দ্বীপে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে।

ডিসেম্বর মাসে সুমাত্রার লেক টোবার কাছে একটি ভূমিধস হয় ও বন্যা দেখা দেয়। এতে, কয়েক ডজন বাড়ি ভাসে যায় এবং একটি হোটেল ধ্বংস হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়।