ভারতের বেঙ্গালুরু শহরের হোয়াইটফিল্ড এলাকার রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্ত বলে সন্দেহভাজন দুজনকে, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) গ্রেফতার করেছে দেশটির ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)।
আটক ব্যক্তিদের নাম আব্দুল মাতিন তাহা এবং মুশাবীর হুসেন সাজিব। এর আগে, এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক বিজেপি কর্মীকে আটক করেছিলো এনআইএ ।
ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর, রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত এই দুইজনকে আটক করলো এনআইএ। পশ্চিম বঙ্গের দীঘার একটি হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়। এনআইএ, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, কর্নাটক পুলিশ ও কেরালার পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
এক বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, দুই অভিযুক্ত ভুয়া পরিচয়ে হোটেলে অবস্থান করছিলো। শুক্রবার ভোরে সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মকর্তারা হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ হয়। বেঙ্গালুুরু পুলিশ জানায়, ক্যাফেতে ঢুকে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে আসেন এক ব্যক্তি। তাতে টাইমার সেট করা ছিলো বলেও জানিয়েছে বেঙ্গালুরুর পুলিশ বিভাগ। তারা আরো জানায়, এক ঘণ্টা পর বিস্ফোরণ হলে ১০ জন আহত হন।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিলো। পরে, ৩ মার্চ এ ঘটনার তদন্তভার নেয় এনআইএ। বেঙ্গালুরুর অন্যতম জনপ্রিয় এই ক্যাফেতে প্রতিদিন বহু গ্রাহক ভিড় করেন। বিস্ফোরণের ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
দীঘা থেকে আটক দুই ব্যক্তি বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে সরকারি যুক্ত বলে ধারণা করছে এনআইএ। সংস্থাটির ধারণা, আটক ব্যক্তিরা প্রথমে আসাম এবং পরে পশ্চিমবঙ্গে লুকিয়ে ছিলো।
বিস্ফোরণের অন্যতম প্রধান অভিযুক্তকে মার্চেই গ্রেফতার করেছিলো এনআইএ। সেই সময় আরো দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছিলো এনআইএ। তারাই হলো শুক্রবার আটক হওয়া আব্দুল মাতিন তাহা এবং মুশাবীর হুসেন সাজিব।
ঘটনার পর, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছিলেন, অজ্ঞাতপরিচয় একজন ক্রেতা একটি ব্যাগ ফেলে যায়, সম্ভবত সেটাই বিস্ফোরণের উৎস।
এর পর, বেঙ্গালুরু দক্ষিণের বিজেপি আইন প্রণেতা তেজস্বী সূর্য বলেন, তিনি ক্যাফের মালিকের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মালিক শ্রী নাগরাজ তাকে জানিয়েছেন একজন ক্রেতা একটি ব্যাগ ফেলে গিয়েছিলেন। শ্রী নাগরাজ আরো জানিয়েছেন যে এটা সিলিন্ডার বিস্ফোরণ নয়, বোমা বিস্ফোরণ।
ঘটনার পর, বেঙ্গালুরু পুলিশের পক্ষ থেকে হ্যাল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আর ৩ মার্চ তদন্তভার নেয় এনআইএ।
৩ মার্চ ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শীর্ষ কর্তারা তদন্তে নামেন। জানা যায়, ব্যবহার করা হয়েছিল আইইডি বা 'ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস'।