বৃহস্পতিবার আইএমএফ প্রধান বলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি, বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যত্ সম্পর্কে আশাবাদী করে তুলছে তবে উত্পাদশীলতার নিম্নগামিতা রোধে আরও কিছূ করা প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক মুদ্র তহবিল(আইএমএফ) ‘এর ব্যবস্থাপক পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সংবাদদাতাদের পূর্ব প্রস্তুত মন্তব্য থেকে বলেন, “ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির শক্তিশালী কার্যক্রম এবং নতুন বাজার অর্থনীতির কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বানিজ্য বিভাগের মতে গতবছর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২.৫ শতাংশ যা উন্নত অর্থনীতি সম্পন্ন অনেক দেশের চেয়ে বেশি।
জর্জিয়েভা আরও বলেন, “ বাড়িঘরে খরচ এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং সরবরাহের ধারাবাহিকতা সহজতর হয়েছে আর মুদ্রস্ফীতিও আগের প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত কমে এসেছে।
বিশ্বের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে ওয়াশিংটনে আইএমএফ-বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীর বৈঠকের কিছু দিন আগে তিনি এই বক্তব্য রাখলেন।এটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আয়োজিত বছরের দু’টি বৈঠকের মধ্যে একটি।
তাঁর মন্তব্যে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে জানুয়ারি মাসে যেমনটি পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল তার চাইতে দ্রুততর হবে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। ঐ পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল যে ২০২৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৩.১% এবং ২০২৫ সালে তা হবে ৩.২%।
জর্জিয়েভা বলেন , “ মুক্তির নিঃশ্বাস নিতে ইচ্ছে করছে । আমরা বিশ্বে মন্দা ও মুদ্রস্ফীতিকে পাশ কাটাতে পেরেছি যার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন কেউ কেউ”।
জর্জিয়েভা বলেন চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রমবর্ধমান ভু-রাজনৈতিক উত্তেজনা যা কীনা বিশ্ব অর্থনীতিকে ভাঙ্গনের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
তিনি জনসাধারণের ক্রবর্ধমান ঋণের বিষয়টি এবং “ ব্যাপক অর্থে উত্পাদনশীলতা কমে আসার” বিষয়কেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরেন।
আর এজন্যই আইএমএফ আশা করে এই মাঝের সময়টুকুতে প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের সামান্য বেশি হবে যা কীনা তার আগেকার গড়ের চেয়ে কম।
বিশ্ব অর্থনীতিকে সারিয়ে তুলতে এবং উত্পাদনশীলতার চ্যালেঞ্জকে ঠিক করতে জর্জিয়েভা বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি এবং জনগণের ঋণকে সহনশীল স্তরে নিয়ে আসার ব্যাপারে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন এবং “অর্থনৈতিক কার্যক্রমের উপর প্রতিবন্ধকতা” দূর করে উদ্পাদনশীলতা বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান।