গত ২ ও ৩ এপ্রিল, ২০২৪ বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় সশস্ত্র হামলা চালালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সংগঠনটি আবারও বড় ধরনের আলোচনায় চলে আসে।
বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে কেএনএফ’র ৫৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। রুমা উপজেলার সেনাবাহিনীর জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন জানান, সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরাফাত আরো জানান, রবিবার (৭ এপ্রিল) রাতে পুলিশ থানচি ও জেলা সদরের রেইচা ক্যাম্প থেকে তিন কেএনএফ সদস্যকে আটক করেছে। এছাড়া, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালককেও আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লালচিয়াম বম।
সেইসাথে রবিবার (৭ এপ্রিল) বান্দরবান সদর উপজেলার সুলক এলাকার বাসা থেকে কেএনএফ-এর প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অপহরণসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায়, রবিবার (৭ এপ্রিল) বড় পরিসরে যৌথ অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
কে এই নাথান বম?
কেএনএফ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার এডেন পাড়ার অধিবাসী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করা নাথান বম।
বান্দরবানের বম জাতিগোষ্ঠীর কিছু ব্যক্তি নিয়ে এই সংগঠনটি গড়ে তোলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ ছাড়া রুমার এডেন পাড়ায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) নামের একটি বেসরকারি সংগঠনেরও প্রতিষ্ঠাতা এই নাথান বম।
কেএনএফের দাবি-দাওয়া কী?
পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ২০২২ সালে তারা বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার ৯ উপজেলা নিয়ে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণাও দেয় এই সংগঠনটি।
এর মধ্যে রয়েছে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম।
কেএনএফের প্রধান দাবি কী, তা জানতে চাইলে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, “তাদের প্রধান দাবি হলো রাঙ্গামাটির তিনটি উপজেলা ও বান্দরবানের দুটি উপজেলাসহ ছয়-সাতটি উপজেলা নিয়ে আলাদা একটা রাজ্য করা। এরা বান্দরবান জেলা অথবা পার্বত্য এলাকায় আলাদাভাবে সরকার গঠন করতে চায়। কিন্তু এটা তো অসম্ভব, সাংবিধানিকভাবে কোনো কার্যকলাপের মধ্যে পড়ে না।”
ছয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে তারা,
দাবি কেএনএফ-এর
কেএনএফ বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছে তারা রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান অঞ্চলের ছয়টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে।
সেগুলো হলো—বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, ম্রো ও খুমি।
কিন্তু বাস্তবে এর কোনো মিল নেই। একাধিক জনপ্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই ছয় সম্প্রদায়ের ১ শতাংশের কম লোকজন তাদের সাথে রয়েছে।
কেএনএফকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে দু'বার আলোচনা হয়
২০০৮ সালে একটি সামাজিক সংগঠন হিসেবে এটি আত্মপ্রকাশ করে। এ
রপর ২০১৫ সালে সরকারিভাবে সংগঠনটি সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন নেয়।
২০২২ সাল থেকে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে কেএনএফ।
পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে একাধিকবার ফোনে আলোচনার পর সরাসরি দু'বার বৈঠক করা হয়েছে।
তৃতীয় বৈঠকটি চলতি এপ্রিলের ২২ তারিখে হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তার আগেই গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় সশস্ত্র হামলা চালালে তৃতীয় ধাপের আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
“শান্তির সম্ভাবনা সত্ত্বেও কেএনএফ অপরাধমূলক আচরণের দিকে ফিরে গেছে;” রবিবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, "গত জুনে কোণঠাসা হওয়ার পর তারা আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক বলে মনে হয়েছিলো।"
বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা কমিটির প্রধান ক্য শৈ হ্লার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “কেএনএফের দাবিগুলো তো মানা সম্ভব হবে না। আমরা তাদের বলেছি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে। কিন্তু তারা এটা মানছে না।”
তিনি বলেন, “তাদের সাথে চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু সেটা তারা বরখেলাপ করেছে, লঙ্ঘন করেছে। এখন কেএনএফ যদি বলে যে আমরা মানি না এই কারণে, তাহলে তো আর সম্ভব না।”
দুই বছরে কেএনএফের বিভিন্ন হামলায় ২১ জন নিহত
২০২২ সালের পর থেকে গত দুই বছরে কমপক্ষে ৯টি হামলা করেছে কেএনএফ।
এসব হামলায় সেনাসদস্যসহ ২১ জন নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এ ছাড়া এদের হামলায় বেশ কিছু লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যাদের অধিকাংশই নিরীহ মানুষ।
কেএনএফের সাম্প্রতিক হামলা
চলতি এপ্রিল মাসের ২ ও ৩ তারিখে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় সশস্ত্র হামলা চালায় কেএনএফ।
এটি ছিল সংগঠনটির সবচেয়ে বড় আলোচিত হামলা।
এ হামলায় পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র ও গুলি এবং ব্যাংকের অর্থ লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এ সময় তারা ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর এবং একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে।
যদিও পরে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়।
এসব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় ছয়টি মামলা করেছে।
বান্দরবানের রুমা এবং থানচিতে কেএনএফের হামলা কেন মোকাবিলা করা সম্ভব হলো না, জানতে চাইলে বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, “তারা দুটি ব্যাংক থেকে টাকা নিলেও আমাদের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি ছিল না। তারা ছদ্মবেশে ঢুকে হঠাৎ করে অস্ত্র তাক করে। সেখানে আমাদের লোকজন ও সাধারণ মানুষও ছিল। আমরা যদি অ্যাকশনে যেতাম তাহলে ওই মুহূর্তে অনেক সাধারণ মানুষ ক্যাজুয়ালটি হতো। আর এই কারণে আমরা কোনো ধরনের অ্যাকশনে যেতে পারিনি।”
ইসলামী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয় কেএনএফ
সমতলের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগ উঠে কেএনএফের বিরুদ্ধে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে এই অভিযোগ করা হয়।
বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার বেশ কয়েকজন সদস্য ও কেএনএফের ৭৬ জন সদস্যকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে।
কতটা হুমকি এই কেএনএফ?
সেখানকার পরিস্থিতি একদম নরমাল- আসাদুজ্জামান খান কামাল
বান্দরবান জেলার রামু উপজেলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা ফিরে আসার পর সেখানকার পরিস্থিতি জানতে চাইলে ৬ এপ্রিল রাতে ভয়েস অফ আমেরিকাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “সেখানকার পরিস্থিতি একদম নরমাল। কোনো অসুবিধা নেই। এখানে মুষ্টিমেয় কতগুলো লোক এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এরা বান্দরবানের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম। তবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে—খুঁজে বের করে করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “এরা শতাংশের হিসাবে অনেক কম। মূলত বম উপজাতিরাই এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। এরা পার্বত্য চট্টগ্রামে ১ থেকে ২ শতাংশ হবে। সেখানে শান্তির পরিবেশ ছিল। কিন্তু তারা অতর্কিত হামলা করেছে।"
এত দিন সরকার এটাকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেনি- আলতাফ হোসেন চৌধুরী
কেএনএফের উত্থান মোকাবিলায় সরকারের যেসব পদক্ষেপ নেয়া দরকার ছিল, সরকার বাস্তবে সেটা নিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে বিএনপি সরকারের আমলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, "ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট সরকারকে বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছে যে তারা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে বা তাদের কর্মপদ্ধতি কী এবং তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী? কিন্তু তখন সরকার সম্ভবত খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে করেনি।"
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, “এখন এটা এমন একটা পর্যায়ে এসেছে যে তিনজন মন্ত্রী এদের সঙ্গে পিস টকের কথা বলছেন। এদের সাথে পিস টকের মানেই হচ্ছে আপনি এদেরকে রিকগনিশন দিচ্ছেন You are recognizing them as a body, i think which is most dangerous thing that can happen in a situation like this।"
মিয়ানমারের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি এক্সটেন্ড করে ভারত বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার পরিকল্পনা হতে পারে- মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ
কেএনএফের বিভিন্ন হামলা পার্বত্য অঞ্চল তথা দেশের নিরাপত্তার জন্য কতটা হুমকি জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, "কুকি-চিনদের হঠাৎ উত্তেজিত হওয়ার পেছনে তাদের অভিপ্রায় হতে পারে যে , মিয়ানমারে যে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখছি, সেটিকে এক্সটেন্ড করে ভারত-বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়া যায় কিনা?"
এই সন্ত্রাসী তৎপরতার আরেকটি কারণ হতে পারে এই কুকি-চিনের সাথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কিছু জঙ্গি সংগঠনের সংস্রব। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করার জন্য এই জঙ্গিদের সাথে কুকি - চিনদের অভিপ্রায়ের কোনো মিল ঘটলেও হয়তো এটা হতে পারে বলে মনে করছেন, অবসরপ্রাপ্ত এই মেজর জেনারেল।
"আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তার একটা স্ট্যান্ডার্ড বলয় তৈরি করে রাখা হয়, সেই বলয় ভেদ করে, হামলা করা যত সহজ, সেই বলয় ভেদ করে পালিয়ে যাওয়াটা তার চেয়ে বেশি কঠিন। যেখানে আমরা দেখছি তারা হামলাও করছে, পালিয়েও যাচ্ছে। এই বিষয়টি আমাকে অবশ্যই সংশয়ের মধ্যে ফেলেছে," তিনি বলেন।
কেএনএফের কর্মকাণ্ড কেন হঠাৎ অ্যালার্মিং আকারে বেড়ে গেছে, তা খুঁজে বের করতে হবে- নূর মোহাম্মদ
পার্বত্য চট্রগ্রামের স্থিতিশীলতার জন্য কেএনএফের উত্থান কতটা হুমকিস্বরূপি , জানতে চাইলে সাবেক পুলিশ প্রধান নূর মোহাম্মদ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “ওদের যে অ্যাক্টিভিটিস, বিভিন্ন সময় থেমে থেমে, অনেক বছর বন্ধ ছিল কিন্তু রিসেন্টলি যে ঘটনাগুলো ঘটল সেগুলো অবশ্যই অ্যালার্মিং। তিনি বলেন, কেএনএফের কর্মকাণ্ড কেন হঠাৎ করে অ্যালার্মিং আকারে বেড়ে গেছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে।”
এ-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো করণীয় আমাদের নেই- সচিব মো. মশিউর রহমান
কেএনএফের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা, জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়টির সচিব মো. মশিউর রহমান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “এটা আইনশৃঙ্খলা মন্ত্রণালয়ের বিষয়, এ বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো করণীয় নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়েছে। আমাদের নিজস্ব কোনো বাহিনী বা ফোর্স নেই। ফলে এ-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো করণীয় আমাদের নেই। আমরা কেবল ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক করছি।”
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কোনো চিঠি দিয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, “স্পেশ্যালি এটা আমার মন্ত্রণালয়ের ইস্যু না। এখানে ব্যাংক ডাকাতি হয়েছে। আমরা তো ব্যাংক ডাকাতির মামলা নিতে পারব না। এই মামলা তো আমার মন্ত্রণালয় করতে পারবে না। এটা এই মন্ত্রণালয়ের ইস্যু না।”
(এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)