রাফা হামলার তারিখ ঠিক করা হয়েছে, বললেন নেতানিয়াহু

২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল গাজা সিটিতে ইসরাইলি বোমা হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষের ওপর খেলছে এক ফিলিস্তিনি শিশু।

সোমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় স্থল আগ্রাসনের জন্য একটি গোপন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-মুক্তির সর্বসাম্প্রতিক প্রস্তাবটি বিবেচনা করছে।

ইসরাইলি এই নেতা জেরুজালেমে বলেন, “আজ আমি কায়রোর আলোচনার বিস্তারিত প্রতিবেদন পেয়েছি। আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হলো আমাদের সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বিজয় অর্জন করা।”

তিনি বলেন, “এই বিজয়ের জন্য রাফায় প্রবেশ এবং সেখানে সন্ত্রাসী ব্যাটালিয়নকে নির্মূল করা প্রয়োজন। এটা ঘটবে। তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।”

এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিকভাবে নেতানিয়াহুকে তিরস্কার করেছে। পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা খুব স্পষ্ট করে বলে আসছি যে, আমরা রাফায় অভিযান সমর্থন করি না।”

সপ্তাহান্তে কায়রোতে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রধান উইলিয়াম বার্নস, ইসরাইল, হামাস এবং কাতারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হোয়াইট হাউস এই আলোচনাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছে।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এখন যে পর্যায়ে রয়েছি সেটি হলো হামাসের কাছে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে এবং আমরা হামাসের জবাবের অপেক্ষায় আছি। এটি এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে।”

কার্বি প্রস্তাবিত চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে অস্বীকার করে বলেন, “এটি হবে চুক্তি বানচাল করার অন্যতম নিশ্চিত উপায়।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলি যুদ্ধ প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের অবস্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনা সম্পর্কে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করার কয়েকদিন পরে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা ঝুলে যায়।

বাইডেন দাবি করেন, ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদেরকে সহায়তা করার জন্য ইসরাইলকে অবিলম্বে যুদ্ধক্ষেত্রে আরও মানবিক সহায়তা অনুমোদন করতে হবে এবং তাদের আলোচকদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর ক্ষমতা দিতে হবে।

গাজায় খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে ইসরাইলি বিমান হামলায় সাতজন আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর বাইডেন এ দাবি জানালেন।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স, এপি এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।