সোমবারের সৌরজাগতিক বিস্ময়ের সাক্ষী হলেন মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্র হয়ে কানাডা পর্যন্ত বিস্তৃত অংশের লক্ষ লক্ষ দর্শক। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলে কথা। যদিও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল আকাশে মেঘ থাকতে পারে।
সূর্যগ্রহণ উপলক্ষ্যে এত ভিড় এর আগে উত্তর আমেরিকা আগে দেখেনি, এমনটাই বলা হচ্ছে। টেক্সাস ও অন্যান্য জায়গায় জনবহুল পথ ও মাঝদুপুরে চার মিনিটের বেশি সময় অন্ধকার নেমে আসার যে পূর্বাভাস ছিল, তার ফলেই এই অত্যুৎসাহ।
ব্রিটেনের গথাম থেকে আসা ক্রিস লমাস বলেন, বৃষ্টি হোক বা রোদ “বাকিদের সঙ্গে অভিজ্ঞতাটা ভাগ করে নেওয়াই আসল।” ডালাসের বাইরে এক রিসোর্টে আছেন তিনি। এই রিসোর্টে তিল ধারণের জায়গা নেই।
সোমবারের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে চাঁদ সূর্যের সামনে এসে একে ঢেকে দেয়। সূর্যের বহির্ভাগের বাতাবরণ বা করোনা অংশটি কেবল দেখা যায়। এর ফলে যে গোধূলি পরিবেশের সৃষ্টি হয় তাতে পাখি ও অন্যান্য জীব কিছুটা বিচলিত হয়েছে। এই মাপের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ যুক্তরাষ্ট্র দেখতে পাবে আরও ২১ বছর পর।
পূর্ণগ্রাসের পথ আনুমানিক ১১৫ মাইল (১৮৫ কিলোমিটার) বিস্তৃত। এই বিস্তীর্ণ পথে অনেক বড় শহর যেমন ডালাস, ইন্ডিয়ানাপোলিস, ক্লিভল্যান্ড, বাফেলো, নিউ ইয়র্ক ও মন্ট্রিল রয়েছে। এই পথে আনুমানিক ৪৪ মিলিয়ন মানুষের বাস এবং ২০০ মাইলের (৩২০ কিলোমিটার) মধ্যে আরও কয়েকশো মিলিয়ন মানুষ রয়েছেন।
নাসা ও বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞকে সূর্যের এই পরিক্রমা-পথ বরাবর নিযুক্ত করা হয় যাতে গবেষণামূলক রকেট, আবহাওয়া সংক্রান্ত বেলুন উৎক্ষেপণ করা যায় এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো যায়।