ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহুর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই সতর্ক বার্তা যে ইসরাইল যদি তার যুদ্ধের আচরণে পরিবর্তন না আনে, তা হলে তিনি ইসরাইলের প্রতি তার নীতির পরিবর্তন আনবেন, তার একদিন পরই ইসরাইল আরও ত্রাণসামগ্রী আনার অনুমতি দেয়ার পদক্ষেপ নেয় এবং ঘোষণা করেছে যে বিমান আক্রমণটির সঙ্গে জড়িত দু জন কর্মকর্তাকে ইসরাইল বরখাস্ত করছে। ঐ বিমান হামলায় এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে গাজায় সাতজন আন্তর্জাতিক ত্রাণ কর্মী প্রাণ হারায়।
১ এপ্রিলের এ ঘটনার তদন্তের উপসংহার টেনে এক বিবৃতিতে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে একজন ব্রিগেড কামান্ডার এবং ব্রিগেডের চিফ অফ স্টাফকে বরখাস্ত করা হবে। একজন ব্রিগেড কমান্ডার, একজন ডিভিশিন কমান্ডার এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধানকে কঠোর তিরস্কার করা হয়েছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী(আইডিএফ) বলে আন্তর্জাতিক খাদ্য ত্রাণ গোষ্ঠী , ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন পরিচালিত তিনটি ত্রাণবাহী যানবাহনকে তারা সঠিক ভাবে চিহ্নিত করতে পারেনি । তারা মনে করেছিল হামাস বন্দুকধারীরা ঐ ট্রাকে লুকিয়ে ছিল। তারা বলেছে এই আক্রমণ, “ কমান্ডের গুরুতর লংঘন এবং আইডিএফ তত্পরতার মানসম্পন্ন প্রক্রিয়ারও লংঘন”।
শুক্রবার ব্রাসেলস’এ রওয়ানা দেয়ার আগে বিমান বন্দর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ”অত্যন্ত সতর্কতার” সঙ্গে আইডিএফ এর তদন্ত রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখছে এবং ইসরাইলি কর্মকর্তা ও মানবিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবে।
তিনি বলেন, “ এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে ইসরাইল এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় গ্রহণ করবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এমন সব পদক্ষেপ নেয়া যা নিশ্চিত করবে যে এ রকম ঘটনা আর কখনই ঘটবে না”।
ইউরোপীয় নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে শুক্রবার সকালে ব্লিংকেন ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন টিমের হত্যোকান্ডের “প্রকাশ্য জবাবদিহিতার” দাবি জানানোর অল্প পরই আইডিএফ তার প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ইসরাইল এর আগে ঘোষণা করে যে তারা এরেজ ক্রসিং আবার খুলে দেয়াসহ আরও় মানবিক ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের জন্য আরও পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই এরেজ ক্রসিং হচ্ছে গাজাতে প্রবেশ ও গাজা ত্যাগের জন্য যাত্রীদের জন্য একমাত্র টার্মিনাল।
ইসরা্ইল আশদোদ বন্দর থেকে মানবিক সহায়তার চালান যাওয়ারও অনুমতি দিয়েছে যার ফলে জর্দান থেকে আসা আরও ত্রাণ সামগ্রী সেখানে পাঠানো যাবে।