গাজায় নতুন পদক্ষেপ নেবার ওপর ইসরাইলের প্রতি আমেরিকার ভবিষ্যৎ সাহায্য নির্ভর করবে, বলেছেন বাইডেন

প্রেসিডেন্ট বাইডেন টেলিফোনে নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলছেন। ৪ এপ্রিল ২০২৪।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বলেছেন, গাজা যুদ্ধে আমেরিকার ভবিষ্যৎ সাহায্য নির্ভর করবে বেসামরিক মানুষ এবং ত্রাণকর্মীদের রক্ষা করতে নতুন পদক্ষেপ নেবার ওপর।

গাজায় ইসরাইলি হামলায় সাতজন ত্রাণ কর্মী নিহত হওয়ার পর দুই নেতার মধ্যে আরও টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। তারা টেলিফোনে কথা বলেছেন।

ওয়াইট হাউস ঐ ফোন আলাপের পর এক বিবৃতিতে বলেছে, বাইডেন নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বেসামরিক মানুষের ক্ষতি এবং কষ্ট কমাতে এবং ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ইসরাইলকে কয়েক দফা সুস্পষ্ট পদক্ষেপ ঘোষণা এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। গাজার ব্যাপারে আমেরিকার নীতি নির্ভর করবে ইসরাইলের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ দেখে তা মূল্যায়নের ওপর।

বাইডেন নেতানিয়াহুকে বলেছেন, কোনোরকম দেরি না করে "তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।"

এর আগে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের প্রতিষ্ঠাতা হোজে আন্দ্রেস নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন যে ঘটনায় ইসরাইলি হামলায় তার প্রতিষ্ঠানের সাতজন কর্মী নিহত হয়।

ওয়াইট হাউস বলেছে, ঐ ঘটনা তদন্ত করার কোনো পরিকল্পনা আমেরিকার নেই।

ওদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ব্রাসেলসে রিপোর্টারদের বলেন, ইসরাইল গাজায় যেভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করছে, তাতে বড় ধরণের পরিবর্তন না করলে তাদের প্রতি আমেরিকার সমর্থন কমিয়ে দেয়া হবে।

ইসরাইল ঐ বিমান হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে, তবে তারা বলেছে ঐ ত্রাণ বহরকে টার্গেট করা হয়নি এবং হতাহতের ঘটনা ইচ্ছাকৃত ছিল না।

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ও ত্রাণের সর্ববৃহৎ প্রাপক দেশ ইসরাইল। বছরে তারা প্রায় ৪০০ কোটি ডলার পায় এবং তা মূলত সামরিক সহায়তা আকারে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, আড়াই কোটি ডলারের চেয়ে বেশি মূল্যের অস্ত্র ইসরাইলকে হস্তান্তর করতে হলে কংগ্রেসকে তা জানাতে বাধ্য প্রশাসন।

হোজে আন্দ্রেস ইসরাইলি হামলার কড়া সমালোচনা করেন। তার প্রতিষ্ঠান গাজায় ত্রাণ বিতরণ স্থগিত রেখেছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, "ইসরাইলকে নির্বিচার হত্যা বন্ধ করতে হবে। মানবিক ত্রাণ বিতরণে বাধা দেয়া বন্ধ করতে হবে, বেসামরিক মানুষ এবং ত্রাণ কর্মীদের হত্যা বন্ধ করতে হবে।"

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।