বুধবার ভোরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ২ ভূমিকম্পে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা গেছে এবং তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি ভবন আংশিকভাবে ধসে পড়েছে। এতে অন্তত সাতজন নিহত ও সাত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দ্বীপটির পূর্ব উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে, ভূপৃষ্ঠের ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে পূর্ব উপকূলে পানির স্তরের পরিবর্তন হয়েছে এবং সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৮ মিনিটে আঘাত হানা প্রথম ভূমিকম্পের পর থেকে এখন পর্যন্ত শতাধিক আফটার শক অনুভূত হয়েছে। এটি গত ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ানে আঘাত হানা সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আঘাতে তাইওয়ান জুড়ে অন্তত ২৬টি ভবন পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধসে পড়েছে।
ভূমিকম্পে দ্বীপ জুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বেশিরভাগ গুরুতর ক্ষেত্রে পূর্বের হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে এটির আঘাত বেশি হয়েছে। কাউন্টি জুড়ে ১২টির বেশি ভবন আংশিকভাবে ধসে পড়েছে। হুয়ালিয়েনের আংশিক ধসে পড়া দুটি ভবন থেকে ১২ জনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হলেও ভবনটিতে এখনো অন্তত একজন আটকা পড়ে আছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিস্ময়কর ছবিতে দেখা গেছে, হুয়ালিয়েনের একটি ভবনের প্রথম তলা পুরোপুরি ধসে পড়েছে এবং ভবনের বাকি অংশ ৪৫ ডিগ্রি হেলে পড়েছে।
ভূমিকম্পের কারণে তাইওয়ানের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ি মহাসড়কের পাশে পাথর পড়ে মানুষ আহত হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের নিকটবর্তী হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে অন্তত ৭৭ জন আটকা পড়েছেন।
কর্তৃপক্ষ সেন্ট্রাল ক্রস-আইল্যান্ড হাইওয়ে এবং সুহুয়া হাইওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে রাস্তার কিছু অংশ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক মানুষের আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। প্রধান রেলপথ এবং হুয়ালিয়েনকে তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলের সাথে সংযোগকারী একটি সেতু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিবহন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবারের মধ্যে রেল চলাচল পুনরায় শুরু করার আশা করছে।