মাত্র ১২ বছর বয়সী এক ছাত্র বন্দুকধারীর গুলিতে ফিনল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন নিহত হয়েছে। গুলিতে অপর দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। পরে সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৮ মিনিটে রাজধানী হেলসিংকির অদূরে ভানতা শহরের নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গোলাগুলির খবর পায় পুলিশ। এরপর তারা ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্থানটি ঘিরে ফেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ও নিহত দুজনেরই বয়স ১২ বছর। মঙ্গলবার হেলসিংকি এলাকা থেকে সন্দেহভাজনকে একটি হ্যান্ডগানসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সংবাদ সম্মেলনে আহত শিক্ষার্থীদের একজন নিহত এবং অপর দুজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব উসিমা পুলিশ বিভাগের পুলিশ প্রধান ইলকা কোসকিমাকি।
ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী পেত্তেরি অর্পো এই ঘটনায় তিনি “গভীরভাবে মর্মাহত” বলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন।
গত কয়েক দশকের মধ্যে ফিনল্যান্ডের স্কুলে এ রকম বড় দুটি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর একটি ঘটেছিল, ২০০৭ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ ফিনল্যান্ডের তুসুলার জোকেলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেই ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছিল। ১৮ বছর বয়সী হামলাকারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
এর পরের বছরই, দক্ষিণ-পশ্চিম ফিনল্যান্ডের কাউহাজোকির একটি কলেজে ২২ বছর বয়সী এক ছাত্র আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল দিয়ে ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ৫৬ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার লাইসেন্সধারী রয়েছে এবং লাইসেন্স প্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র ১৫ লাখেরও বেশি। ঐতিহ্যগতভাবে জনবিরল উত্তর ইউরোপের এই দেশটিতে শিকার ও বন্দুকের মালিকানা রয়েছে অনেকের।
স্থানীয় পুলিশ বিভাগ সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমতি প্রদান করে।
২০০৭ আর ২০০৮ সালের স্কুলের গুলির ঘটনার পর ফিনল্যান্ড আগ্নেয়াস্ত্র মালিকানার বয়স আর লাইন্সেন্সের জন্য আবেদনকারীর ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের ব্যাপারে কঠোর নিয়ম কানুন প্রয়োগে পুলিশের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দিয়েছে।