সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা; সন্দেহের তীর ইসরাইলের দিকে

ধ্বংসস্তুপ থেকে ধোঁয়া উঠছে। ইরানের মিডিয়ার দাবি, দামাস্কাসে ইরানের কনস্যুলেট সংলগ্ন এক ভবনে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে।

সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের কনস্যুলেট সোমবার বিমান হামলায় ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে। সিরিয়া ও ইরানের মিডিয়ার দাবি, এটি ইসরাইলি হামলা। মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের সম্ভাবনা আপাতভাবে বৃদ্ধি পেলো এবং এই সংঘাতে ইরান ও তাদের মিত্র দেশগুলির বিরুদ্ধে মোকাবেলা করতে হবে ইসরাইলকে।

লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্র রয়টার্সকে বলছেন, নিহতদের একজন হলেন মহম্মদ রেজা জেহাদি। তিনি ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোরের (আইআরজিসি) একজন সিনিয়র কমান্ডার। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টেলিভিশন বলেছে, কয়েকজন ইরানি কূটনীতিক নিহত হয়েছে।

সিরিয়ার রাজধানীর মেজ্জেহ জেলায় অকুস্থলে উপস্থিত রয়টার্সের সংবাদদাতারা দেখেছেন, ধূলিস্যাৎ হয়ে যাওয়া একটি ভবনের ধ্বংসস্তুপ থেকে ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে; জরুরি পরিষেবার একাধিক গাড়ি বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ধ্বংসাবশেষের সামনের একটি স্তম্ভ থেকে ঝুলছে ইরানের পতাকা। সিরিয়া ও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের ঘটনাস্থলে দেখা গেছে।

গাজায় দীর্ঘ ছয় মাসব্যাপী যুদ্ধ চলাকালে ইরানী লক্ষ্যবস্তুতে বারবার আঘাত করা ইসরাইল তাদের চিরাচরিত রীতি মেনে এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, “বিদেশী মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে আমরা মন্তব্য করি না।”

ইরানের সংবাদ সংস্থা তাসনিম বলেছে, ইসরাইলি হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা অনির্দিষ্ট সংখ্যক নিহত ও আহতের খবর দিয়েছে।

ইরানের সাহায্যপুষ্ট ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের ৭ অক্টোবরে ইসরাইলের উপর হামলার পর থেকে সিরিয়াতে লাগাতার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। তেল আবিবের লক্ষ্য, লেবাননের হেজবুল্লাহ মিলিশিয়া (ইরানের সাহায্যপুষ্ট) ও ইরানের গার্ড। উভয় দলই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারকে সমর্থন করে।

সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশন নিশ্চিত করেছে যে, দূতাবাস ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে, ইরানের মিডিয়া জানিয়েছিল, সংলগ্ন একটি ভবনে আঘাত করা হয়েছে। ইরানের স্টুডেন্ট সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল কনস্যুলেট ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন।