আফগানিস্তানে স্থলমাইন বিস্ফোরণে নয় শিশুর মৃত্যু

২০২১ সালের ৯ নভেম্বর তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হেলমান্দ প্রদেশের নাদ-ই-আলী গ্রামে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে এক কর্মী মাইনের জন্য ভূমি স্ক্যান করছেন। ফাইল ছবি।

সোমবার আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের তালিবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে স্থলমাইন বিস্ফোরণে অন্তত নয়টি শিশু নিহত হয়েছে।

প্রাদেশিক সরকারের এক মুখপাত্র জানান, ‘অবিস্ফোরিত মাইনটি’ অতীতের সংঘর্ষের অবশিষ্টাংশ। রবিবার এটি নিয়ে গজনি প্রদেশের গেরু জেলায় একদল তরুণ ছেলে-মেয়ে খেলছিল।

হামিদুল্লাহ নিসারের দাবি, ১৯৮০-র দশকের আফগানিস্তানে রুশ আগ্রাসনের সময় থেকেই এই অস্ত্র ফেলে রাখা হয়েছিল।

সোমবার কাবুলে জাতিসংঘ বলেছে, আফগানিস্তানে ভূমিমাইন ও যুদ্ধের বিস্ফোরক অবশিষ্টাংশের আঘাতে নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।

পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ জাতিসংঘ পোস্ট করেছে, “#MinAction অংশীদাররা ৩ হাজার ১১ বর্গ কিলোমিটার (১ হাজার ১৬২ বর্গ মাইল) জমি পরিষ্কার করেছে।” এটি জোর দিয়ে বলেছে, কয়েক দশক সংঘাতে জর্জরিত থাকা আফগানদের রক্ষা করার জন্য “আরও কাজ” করা প্রয়োজন।

১৯৯০-এর দশকে রুশ সেনারা দেশটি থেকে সরে যাওয়ার পর আফগানিস্তানে কয়েক বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।

মৌলবাদী তালিবান বিভিন্ন আফগান উপদলের মধ্যে আসন্ন ক্ষমতার লড়াইয়ে বিজয়ী হয়ে ওঠে, ১৯৯৬ সালে দেশের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ইসলামি আইনের কঠোর ব্যাখ্যার মাধ্যমে এটি শাসন শুরু করে।

৫ বছর পরে কট্টরপন্থী এই শাসকদের ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। সে সময় ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার আল-কায়েদার পরিকল্পনাকারীদের আশ্রয় দেয়ার দায়ে তাদের শাস্তি দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা আফগানিস্তান আক্রমণ করে।

তালিবান দ্রুত পুনরায় সংগঠিত হয় এবং পরবর্তী বছরগুলোতে বিদেশী বাহিনী এবং তাদের আফগান মিত্রদের বিরুদ্ধে একটি মারাত্মক বিদ্রোহ শুরু করে এবং ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত বিদেশী বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়ার পরে ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করে।