রুশ হামলা জ্বালানি নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করছে, বলছে ইউক্রেন

ইউক্রেনের খারকিভে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে রাশিয়া হামলা চালানোর পর সেখানে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে; ২২ মার্চ ২০২৪।

ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে শুক্রবার রাশিয়া কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং ৬০টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই হামলার ফলে তিনটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে এবং বড় আকারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে দেশটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র দুটিতে হামলা চালিয়ে, শুধু ইউক্রেনে নয়, প্রতিবেশী দেশ মলদোভারও পরিবেশগত বিপর্যয়ের হুমকি সৃষ্টি করেছেন।

মার্চে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এই লাগাতার আক্রমণের সর্বশেষ উদাহরণ হলো বিদ্যুৎকেন্দ্রে চালানো হামলা। জেলেন্সকি বলছেন, গত সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ১৯০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৪০টি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, এসব হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর আনুমানিক ১,১৫০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে।

ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ডিটেক জানিয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো মেরামত করতে কয়েক মাস সময় লাগবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে আট বার নিপ্রো জলবিদ্যুতকেন্দ্রের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ এই বিদ্যুৎ অবকাঠামোটি মেরামত করতে, কয়েক বছর লেগে যাবে বলে জানায় তারা।

ইউক্রেনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিংক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, রাশিয়ার হামলাগুলো “বর্বর”। তিনি আরো বলেন যে, “এখন আমাদের সহায়তা করা প্রয়োজন।”

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এসব হামলাকে “যুদ্ধাপরাধ” বলে অভিহিত করেন এবং ইউক্রেনে অবিলম্বে সামরিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য ইইউ-এর প্রতি আহবান জানান।