নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জান্নাহ আইসা ও ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া আরভাইনের দিয়াবা কোনাতে বাস্কেটবল খেলার সময় হিজাব পরার মাধ্যমে কিছু মুসলিম নারীকে অনুপ্রাণিত করছেন এবং এই পোশাককে তুলে ধরছেন।
এনসিএএ টুর্নামেন্টের খেলায় নারী হিসেবে তারাই প্রথম এই কাজ করছেন না, তবে রেকর্ড সংখ্যক দর্শক ও উপস্থিত জনতার সামনে তারা নিশ্চিতভাবে সকলের চোখে পড়ছেন।
গনজাগা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কোনাতের দল টুর্নামেন্টের প্রথম দফায় হেরে গেছে। তিনি বলেন, “প্রতিনিধিত্ব সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম তরুণীরা হিজাব পরছেন—আমরা এখনও সেই জায়গায় যাইনি। আমাদের শুধুমাত্র খেলতে দেখা, আমার মনে হয় এটা আমাকে সত্যিই খুশি করে কারণ এমন কিছু মানুষ ছিলেন যাদের আমি দেখতাম। এখন আমাকে অনুসরণ করা মানুষগুলো আমাকে আনন্দিত করে তোলে।”
বিলকিস আব্দুল-কাদিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোনাতে। এক দশক আগে মেমফিসের হয়ে কলেজ বাস্কেটবল খেলার সময় বিলকিস প্রথম হিজাব পরে এনসিএএ-তে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল ফেডারেশন ‘ফিবা’ (এফআইবিএ) তাদের হিজাব নিষিদ্ধের আদেশ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছিল এবং এর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন আব্দুল-কাদির।
কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক খেলোয়াড় বাতৌলি কামারা স্পেনের এলএফ-ওয়ান লিগে প্রথম হিজাব পরিহিতাদের মধ্যে অন্যতম। আইসা ও কোনাতেকে তাদের ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করতে দেখে কামারা খুশি হয়েছেন।
কামারা বলেন, “এই দুই মুসলিম নারী ক্রীড়াবিদ সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিযোগিতা করছেন, এটা প্রত্যক্ষ করা সত্যিই অনুপ্রেরণা দেয়। এই টুর্নামেন্ট একটা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। সেরা দলের উপর সমস্ত আলো এসে পড়েছে এবং পাশাপাশি তারা নিজেদের ধর্মবিশ্বাসকে বজায় রেখেছেন।” কামারা ২০১৭ সালে অলাভজনক সংস্থা উওমেন অ্যান্ড কিডস এমপাওয়ারমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেন, “সারা বিশ্বের মেয়েদের কাছে এটা একটা জোরালো বার্তা দিচ্ছে এবং নিশ্চিত করছে যে, অর্থনৈতিক শ্রেণি, বর্ণ, জাতি, সংস্কৃতি ও অন্যান্য সবকিছু নির্বিশেষে তাদের জায়গা খেলার মাঠে।”
কোনাতে তার নিজের দেশ ফ্রান্সে হিজাব পরে মাঠে নামতে চান। সে দেশের তরুণীদের দলের হয়ে খেলে তিনি দুটি পদক জয় করেছেন। কিন্তু বর্তমানে ফরাসি ফেডারেশন অফ বাস্কেটবল “ধর্মীয় বা রাজনৈতিক অনুষঙ্গ রয়েছে এমন কোনও জিনিস” পরিধান করা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
২০২০ সালে কোনাতে প্রথম হিজাব পরা শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, “ফরাসি ও অলিম্পিকের আয়োজক হিসেবে নিজস্বতা প্রকাশ করতে না পারা সত্যিই কষ্ট দেয়। আশা করি, এটা পরিবর্তন হবে।”