গাজায় আরও ত্রাণের পথ খুলে দিতে ইসরাইলকে জাতিসংঘ আদালতের নির্দেশ

গাজা ভূখণ্ডে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা হয়। ইসরাইল থেকে এ দৃশ্য দেখা গেছে। ২৮ মার্চ, ২০২৪।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত একটি বাধ্যতামূলক ডিক্রিতে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য আরও মানবিক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়ার জন্য ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের দি হেগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের আদেশে গাজায় খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরবরাহসহ ‘জরুরি প্রয়োজনীয় মৌলিক সেবা ও মানবিক সহায়তা’ পাঠানোর জন্য ‘অবিলম্বে’ প্রয়োজনীয় ও কার্যকর সব ব্যবস্থা নিতে ইসরাইলকে বলা হয়েছে।

আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, ইসরাইল যাতে অবিলম্বে নিশ্চিৎ করে যে তাদের সামরিক বাহিনী গাজায় কোনো পদক্ষেপের মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা সরবরাহ আটকানো সহ কনভেনশন অন দ্য প্রিভেনশন এন্ড পানিশমেন্ট অফ দ্য ক্রাইম অফ জেনোসাইডের অধীনে সুরক্ষিত ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘন না করে।

আদালত ইসরাইলকে তারা কীভাবে আদেশ বাস্তবায়ন করছে সে বিষয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এই রায়ের বিষয়ে ইসরাইল তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য না করলেও হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রায় ছয় মাস ধরে চলা যুদ্ধে গণহত্যা চালানোর কথা ইসরাইল কঠোরভাবে অস্বীকার করে আসছে। নতুন আদেশ জারি না করতে ইসরাইল জাতিসংঘের আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইসরাইলের সামরিক বাহিনী গাজা সিটির শিফা হাসপাতালের পাশাপাশি গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসের কাছে লড়াই করার কথা জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এর আগের দিন ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় হামাস জঙ্গিদের ওপর স্থল হামলা চালানোর অভিপ্রায় নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার ইসরাইল তার সমর কৌশলবিদদের ওয়াশিংটনে পাঠাতে সম্মত হয়েছে।

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা একটি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভিটো দিতে অস্বীকৃতি জানানোর প্রতিবাদে ইসরাইল সোমবার এই সফর বাতিল করে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।