ক্যানসারে আক্রান্ত রাজকুমারী কেইট, চলছে কেমোথেরাপি

ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেইট মিডলটন

যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেইট শুক্রবার বলেছেন তার ক্যান্সার হয়েছে এবং কেমোথেরাপি চলছে।

বুধবার রেকর্ড করা এবং শুক্রবার প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় তার অবস্থার কথা প্রকাশ করা হয়। জানুয়ারিতে তিনি পেটের অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁর অবস্থান এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে জল্পনা-কল্পনা চলছিলো।

এই অনির্দিষ্ট ক্যান্সারের চিকিত্সার সময়ে কেইট সবার কাছে সময় এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধ করেছেন।

তিনি আরো বলেন "আমি ভাল আছি। আমাকে নিরাময় করতে সাহায্য করবে এমন বিষয়গুলির প্রতি নজর দিয়ে আমি প্রতিদিন শক্তিশালী হয়ে উঠছি।"

বড়দিনের পর থেকে ৪২ বছর বয়সী রাজকুমারী কেইটকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তবে এই সপ্তাহে তার স্বামী, সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়ামের সাথে তাদের উইন্ডসরের বাড়ির কাছে একটি খামারের দোকান থেকে হেঁটে যাওয়ার ভিডিও প্রকাশ হয়।

ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেইট মিডলটনের অবস্থা সম্পর্কে কেনসিংটন প্যালেস প্রথমে বিস্তারিত তেমন কিছুই জানায়নি এবং বলেছিলো যে তার অসুস্থতা ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত নয়, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে এবং সেরে উঠার সময়ে এপ্রিল পর্যন্ত তিনি সরকারী দায়িত্ব থেকে দূরে থাকবেন।

তবে রাজবধুর ক্যান্সারের খবরটি রাজপরিবারের জন্য আরেকটি ধাক্কা, কারণ গত মাসে জানা গিয়েছিলো যে রাজা তৃতীয় চার্লসকে একটি অনির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা করানো হচ্ছে। যা কিনা বর্ধিত প্রোস্টেটের চিকিৎসা চলাকালীন ধরা পড়ে।

৭৫ বছর বয়সী রাজা চার্লস ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় সকল প্রকাশ্য ও নিয়মিত দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থেকেছেন, যদিও তাকে প্রায়শই সরকারি কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে সভা করতে দেখা গেছে এবং এমনকি গির্জায় যেতেও দেখা গেছে।

অন্যদিকে, কেইট দৃষ্টির বাইরে ছিলেন, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে জল্পনা ও গুজবের জন্ম দেয়। যুক্তরাজ্যে মা দিবসে তার তিন সন্তানের সাথে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি প্রকাশের মাধ্যমে জল্পনাকে প্রশমিত করার চেষ্টা চলেছিলো। তবে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এবং অন্যান্য সংবাদ সংস্থা ছবিটি প্রত্যাহার করেছিল কারণ এতে আসল ঘটনা লুকানো হয়েছিলো।

কেইট পরের দিন একটি বিবৃতিতে ছবির কারণে "যেকোন বিভ্রান্তির" জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি “ছবি সম্পাদনা নিয়ে অনুশীলন করতে পছন্দ করেন।” তবে সে জন্য জল্পনা-কল্পনা বন্ধ হয়ে যায়নি।

কেইট মিডলটন প্রাইভেট গার্লস স্কুল মার্লবোরো কলেজ এবং তারপর স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, যেখানে ২০০১ সালের দিকে যুবরাজ উইলিয়ামের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। বন্ধু এবং গৃহকর্মীরা প্রথমে তাদের সম্পর্ক জানতেন, তবে জনসাধারণের চোখে পড়ে যখন ২০০৪ সাথে সুইজারল্যান্ডে একটি স্কিইং ছুটিতে তারা একসঙ্গে ছবি তোলেন।