দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকে কথিত আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার

ফাইল-দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল (মাঝে) নয়াদিল্লিতে আম আদমি পার্টির বিজয় উদযাপন করছেন। ভারত। ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের দীর্ঘদিনের দুর্নীতি-বিরোধী কন্ঠ অরবিন্দ কেজরীয়ালকে সে দেশের আর্থিক অপরাধ দমন সংস্থা বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মদের লাইসেন্স বরাদ্দ করার সময় মদের ঠিকাদারদের কাছ থেকে তিনি এক কোটি ২০ লক্ষ রুপি ঘুষ নিয়েছেন।

অন্য মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ আনা হয়েছে এবং কেজরীওয়ালের প্রধান মিত্রদের দুইজনকে কারাবন্দি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতারির আগে কেজরীওয়ালকে তার বাড়িতে কয়েক ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়েছিল।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

কেজরীয়াল নয় বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে তিনি তার সমর্থকদের সংখ্যা বাড়িয়েছিলেন।

দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী ও আপ নেত্রী অতিশী সিং যাবতীয় অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, কেজরীওয়ালকে যে কেন্দ্রীয় সংস্থা গ্রেফতার করেছে তারা এই মনগড়া দাবিগুলি করছে। তিনি আরও বলেন, দল যখন এই অভিযোগগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করবে তখনও কেজরীওয়ালই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তিনি জানিয়েছেন, গ্রেফতারি প্রত্যাহারের জন্য তার দল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে।

সিং বলেন, তদন্ত যেহেতু এখনও চলছে, সেহেতু কেজরীয়ালকে গ্রেফতার নয়, বরং জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ছিল।

এক সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেজরীওয়ালকে নয়বার তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা, তবে নিজের ব্যস্ততা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের দোহাই দিয়ে তিনি প্রতিটি তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন।

কেজরীয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভী বলেন, মোদি তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার করছেন। তিনি বৃহস্পতিবার আদালতকে বলেন, আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলা নির্বাচনের আগে তার মক্কেলের দলকে দুর্বল করে দেওয়ার অভিপ্রায়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার আদালতে কেজরীওয়ালের হাজির হবার কথা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, সেখানে তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগুলি প্রকাশ্যে আনা হবে।