শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেন তাদের বৈঠকের পর হংকং ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কর্মকান্ড এবং রাশিয়াকে সমর্থন করার জন্য দেশটির সমালোচনা করেছে। লন্ডন এবং ক্যানবেরা তাদের মধ্যকার নিরাপত্তা সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে এই বৈঠকটি করে।
এক বিবৃতিতে এই অঞ্চলে বেইজিং-এর কার্যকলাপ নিয়ে ব্যতিক্রমী সরাসরি ভাষায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে টমাস শোলের কাছে ফিলিপাইনের জাহাজ ও ক্রুদের বিরুদ্ধে চীনের জাহাজের সাম্প্রতিক অনিরাপদ ও অস্থিতিশীল আচরণের জন্য দেশ দুটি সমালোচনা করেছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে এক যৌথ বিবৃতিতে চীনের নাম উল্লেখ না করে দক্ষিণ চীন সাগরে সংযত থাকার আহ্বান জানায় অস্ট্রেলিয়া।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি ওং এবং রিচার্ড মার্লেসের সাথে সাক্ষাতের পরে শুক্রবার এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
ওই চারজন মন্ত্রী বলেন, তারা হংকং-এর নতুন নিরাপত্তা আইন এবং ব্রিটেনের সাবেক উপনিবেশ অঞ্চলটিতে স্বাধীনতা ও অধিকার খর্ব হওয়ার পাশাপাশি চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কড়া সমালোচনা করে দেশ দুটি বলেছে, সংঘাত অবসানে চীনের ভূমিকা রাখা উচিত।
অস্ট্রেলিয়া বেশ কয়েক বছরের উত্তেজনার পরে চীনের সাথে তার সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছে। দেশ দুটির মধ্যকার মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানির ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই চলতি সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া সফরকালে ওয়ং এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
বিবৃতিতে গাজার রাফায় ইসরাইলের স্থল আগ্রাসনের সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক পরিণতির বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ওই এলাকায় আশ্রয় নেয়া বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং গাজায় নিরাপদ স্থানের অভাবের প্রেক্ষিতে মন্ত্রীরা রাফায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানের সম্প্রসারনের ফলে বেসামরিক জনগণের সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।”