শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেন, রাশিয়া ৯০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইরানের তৈরি ৬০টি ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনে রাতভর মারাত্মক হামলা চালিয়েছে, যা সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর একটি।
তিনি বলেন, “রাতভর ৬০টির বেশি শাহেদ ড্রোন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৯০টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে।”
“বিশ্ব যতটা সম্ভব পরিষ্কার চোখে রাশিয়ান সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু দেখতে পাচ্ছে; বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং জ্বালানি সরবরাহ লাইন, একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ, সাধারণ আবাসিক ভবন, এমনকি একটি ট্রলিবাস পর্যন্ত।”
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় অন্তত দুজন নিহত ও ১৪ জন আহত এবং ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, “আমাদের সমস্ত পরিষেবা এখন আক্রমণের পরিণতি নির্মূল করতে জড়িত। উদ্ধারকারীদের ওপর আঘাত হ্রাস করতে আমরা বিপজ্জনক এলাকায় রোবটিক সরঞ্জাম ব্যবহার করি।”
জেলেন্সকি আবারও পশ্চিমা অস্ত্রের সরবরাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে দেরি হয় না, আমাদের দেশে ত্রাণ প্যাকেজও আসে না। কিছু রাজনীতিবিদের মতো ‘শাহেদের’ কোনো সিদ্ধান্তহীনতা নেই। বিলম্ব এবং স্থগিত সিদ্ধান্তের মূল্য বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।”
“মানুষ, অবকাঠামো, বাড়িঘর ও বাঁধ রক্ষার জন্য আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা প্রয়োজন। ঠিক কী প্রয়োজন তা আমাদের অংশীদাররা জানে। তারা অবশ্যই আমাদের সমর্থন করতে পারে... মস্কোর এই অমানুষদের হাত থেকে জীবন রক্ষা করতে হবে।”
শুক্রবারের হামলায় ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি বিদ্যুৎ লাইনের মধ্যে একটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের আণবিক শক্তি অপারেটর এনার্গোঅ্যাটম বলেছে, “এই পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।”
যদি শেষ বিদ্যুৎ লাইনটি কেটে দেয়া হয়, তাহলে কেন্দ্রটি “আরেকটি ব্ল্যাকআউটের দ্বারপ্রান্তে থাকবে, যা কেন্দ্রের নিরাপদ পরিচালনার শর্তগুলোর গুরুতর লঙ্ঘন।”