রাশিয়াতে তিন দিন ব্যাপী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনামলের মেয়াদ প্রায় নিশ্চিৎভাবে আরও ছয় বছর বৃদ্ধির জন্য এই নির্বাচন হচ্ছে।
স্বাধীন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোকে পঙ্গু করে দেয়া এবং পুতিনকে রাজনৈতিক ব্যবস্থার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেয়ার পটভূমিতে এটি হচ্ছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ যখন তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেছে, সে সময় এ ঘটনা ঘটল। যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে; ধীরে হলেও সেখানে তারা জয়ী হচ্ছে। এদিকে ইউক্রেন মস্কোকে ফ্রন্ট লাইনের পেছনে আঘাত করছে, দূরপাল্লার ড্রোন হামলা রাশিয়ার অভ্যন্তরে আঘাত হেনেছে। অন্যদিকে উচ্চ প্রযুক্তির ড্রোনগুলো তার কৃষ্ণ সাগরের বহরকে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে রেখেছে।
ভোটাররা শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দেশটির ১১টি টাইম জোনের পাশাপাশি ইউক্রেনের অবৈধভাবে সংযুক্ত অঞ্চলগুলোর ভোটকেন্দ্রে ভোট দেবেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় চুকোতকা এবং কামচাটকায় প্রথম ভোটকেন্দ্র খোলা হয়।
৭১ বছর বয়সী পুতিন তার পঞ্চম মেয়াদের জন্য কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এই নির্বাচন নিয়ে তেমন উত্তেজনা নেই। তার রাজনৈতিক বিরোধীরা হয় কারাগারে বা নির্বাসনে রয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে সরব আলেক্সেই নাভালনি সম্প্রতি প্রত্যন্ত একটি কারাগারে মারা গেছেন। ব্যালটে অন্য তিনজন প্রার্থী হলেন ক্রেমলিনের লাইনের বিপরীতে থাকা টোকেন বিরোধী দলগুলোর লো-প্রোফাইল রাজনীতিবিদেরা।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে পর্যবেক্ষকদের এমন কোনো প্রত্যাশা নেই। ভোটারদের সামনে খুব কম বিকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া স্বাধীনভাবে পর্যবেক্ষণের সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।
কেবল নিবন্ধিত প্রার্থী বা রাষ্ট্র-সমর্থিত উপদেষ্টা সংস্থাগুলো ভোটকেন্দ্রে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে পারে, যা স্বতন্ত্র নজরদারির সম্ভাবনা হ্রাস করে। দেশটির প্রায় এক লাখ ভোটকেন্দ্রে তিন দিন ধরে ভোট গ্রহণ করায় সত্যিকার অর্থে নজরদারি করা কঠিন।