বুধবার জিম্বাবুয়ে পুলিশ জানিয়েছে, নিজেকে নবী বলে দাবি করা এক ব্যক্তিকে একটি মাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে একটি প্রাঙ্গণে তার অনুসারীরা বাস করে। কর্তৃপক্ষ সেখানে ১৬টি অনিবন্ধিত কবর এবং শ্রমিক হিসাবে ব্যবহৃত ২৫০ এর বেশি শিশুকে পেয়েছে।
এক বিবৃতিতে পুলিশের মুখপাত্র পল নিয়াথি বলেন, ‘স্বঘোষিত’ নবী ইসমাইল চোকুরঙ্গারওয়া (৫৬) রাজধানী হারারে থেকে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে একটি খামারে এক হাজারের বেশি সদস্য নিয়ে একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেন, “গোষ্ঠীর নেতৃত্বের সুবিধার্থে শিশুদের বিভিন্ন শারীরিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছিলো।” ২৫১ জন শিশুর মধ্যে ২৪৬ জনের কোনো জন্মসনদ ছিল না।
ন্যাথি বলেন, তদন্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথে আরও বিশদ প্রকাশ করা হবে।
অভিযানের সময় পুলিশের সাথে থাকা রাষ্ট্র পরিচালিত ট্যাবলয়েড এইচ-মেট্রোর ফুটেজে দেখা যায়, সাদা পোশাক ও মাথায় কাপড় পরিহিত নারী বিশ্বাসীদের সাথে দাঙ্গা পুলিশ তর্ক করছে। ঐসব নারী শিশুদের ফেরত দেবার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানায়। ওইসব শিশু ও নারীকে কোথায় নেয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
সংবাদপত্রের মতে, পুলিশ কর্মকর্তারা বন্দুক, কাঁদানে গ্যাস এবং প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে মাজারে চালিয়েছিল। বিশ্বাসীরা প্রাঙ্গণটিকে “তাদের প্রতিশ্রুত ভূমি” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
কেনিয়ায় পুলিশ ২০০৩ সালের এপ্রিলে পল ম্যাকেঞ্জি নামে এক যাজককে গ্রেপ্তার করেছিল। তার বিরুদ্ধে যিশুর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য সমবেত জনতাকে অনাহারে মৃত্যুর নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
জানুয়ারিতে দেশটির শীর্ষ প্রসিকিউটর গির্জার সদস্য বলে ধারণা করা ৪২৯ জনকে হত্যার ঘটনায় ঐ যাজক এবং তার গোষ্ঠীর ৯০ জনের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে হত্যা, নিষ্ঠুরতা, শিশু নির্যাতন এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ আনার আদেশ দিয়েছিলেন।