যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘স্মৃতিশক্তি দুর্বল’ বলে একটি প্রতিবেদন দিয়ে গত মাসে রাজনৈতিক ঝড় তুলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রসিকিউটর মঙ্গলবার তার মূল্যায়নের পক্ষে বক্তব্য রাখতে তিনি একটি কংগ্রেশনাল কমিটির সামনে হাজির হন।
বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট হুর প্রতিনিধি পরিষদের জুডিশিয়ারি কমিটির সাথে কথা বলতে এসেছিলেন। এটি ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত পরিচালনাকারী প্যানেলগুলোর মধ্যে একটি।
গত অক্টোবরে নেয়া এক সাক্ষাৎকারে ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পরিণতি নিয়ে বাইডেনের সমালোচনার বিষয়ে হুরের সাক্ষাৎকারের একটি প্রতিলিপিতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্টই প্রথমে তার স্মৃতিশক্তির ব্যাপারটি সামনে এনেছিলেন। ঐ সাক্ষাৎকারের প্রতিলিপিটি রয়টার্স পর্যালোচনা করে।
তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার পর গোপন নথি রাখার জন্য তিনি বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবেন না, তবে বাইডেনকে তিনি যে ভাবে তুলে ধরেছেন তাতে হোয়াইট হাউস থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আমরা এটাও বিবেচনা করছি যে, বিচারের সময় বাইডেন সম্ভবত নিজেকে জুরির সামনে একজন সহানুভূতিশীল, সৎ, সদার্থপূর্ণ, দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করবেন; যেমনটি তিনি আমাদের সাক্ষাৎকারের সময় করেছিলেন।”
বাইডেন ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি। তিনি জনসাধারণের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, তার স্মৃতিশক্তি ভালো আছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস এই প্রতিবেদনটিকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।
৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা চলছে। এর মধ্যে একটি হলো গোপন নথি অপব্যবহারের অভিযোগ। ট্রাম্প নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প ও তার মিত্ররা বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে দ্বৈত নীতির অভিযোগ আনলেও প্রসিকিউটররা বলছেন, ট্রাম্প এসব নথি অনুসন্ধানে সক্রিয়ভাবে বাধা দিয়েছেন এবং তদন্তে সহযোগিতা করেননি। হুর বলেন, বাইডেন সাধারণত তদন্তে সহযোগিতা করেন।