চীনের সাথে পাল্লা দিতে ৪০০ কোটি ডলার চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছবি। ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭। ফাইল ছবি।

বাইডেন প্রশাসন ২০২৫ অর্থবছরের জন্য তার বাজেট অনুরোধ প্রকাশ করার সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, চীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই “আমাদের সাথে থাকা সমস্ত সরঞ্জাম” ব্যবহার করতে হবে।

ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি রিচ ভার্মা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীনা অবকাঠামো তহবিলের বিশ্বাসযোগ্য, নির্ভরযোগ্য বিকল্প হিসাবে জন্য নতুন একটি আন্তর্জাতিক অবকাঠামো তহবিল তৈরির জন্য ২০০ কোটি ডলারসহ পাঁচ বছরে বাধ্যতামূলক অর্থায়নের জন্য ৪০০ কোটি ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বাকি ২০০ কোটি ডলার ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোকে ‘লুন্ঠনমূলক প্রচেষ্টা’ ঠেকাতে সহায়তা করার জন্য ‘গেম চেঞ্জিং বিনিয়োগের’ জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে সুশাসন ও আইনের শাসন উন্নত করার প্রচেষ্টাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অঞ্চলে বৈদেশিক সহায়তা ও কূটনৈতিক কাজের জন্য পৃথকভাবে ৪০০ কোটি ডলার তহবিল চেয়েছে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অবকাঠামো খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে চীনের বিশাল বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটভের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এটি ১০ বছরের পুরনো একটি প্রকল্প যা স্থল এবং সামুদ্রিক রুটের মাধ্যমে এশিয়াকে আফ্রিকা ও ইউরোপের সাথে সংযুক্ত করার অবকাঠামো এবং জ্বালানি নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।

গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ২০০০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ১ দশমিক ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে।

ভার্মা বলেন, পরিকাঠামো তহবিল “রূপান্তরমূলক, গুণসম্পন্ন এবং টেকসই মজবুত পরিকাঠামো প্রকল্পগুলোতে” সহায়তা করবে।

ভারতে ২০২৩ সালের জি-টুয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্টাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট (পিজিআই)-এর মাধ্যমে উচ্চ মানের অবকাঠামো প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক করিডোরের বিকাশে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে জি-টুয়েন্টি নেতাদের একটি দলকে যৌথভাবে আপ্যায়ন করেছেন।