যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী রবিবার বলছে তারা একটি এয়ারলিফট অভিযানের মাধ্যমে হেইতি থেকে অত্যাবশ্যক নয় এমন দূতাবাস কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া, ক্যারিবীয় দেশটিতে জরুরি অবস্থা চালু থাকায় দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে।
এই অভিযানটি ছিল সাম্প্রতিক সময় হেইতির বিপজ্জনক পরিস্থিতির সর্বশেষ প্রমাণ। দেশটিতে অপরাধী চক্রদের সহিংসতার কারণে সরকার পতনের উপক্রম হয়েছে। যার ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সাদার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে বলছে, “বিশ্বজুড়ে দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিমানে করে দূতাবাসের কর্মীদের বের করে নিয়ে আসা হয়েছে এবং এই সামরিক বিমানে হেইতির কোনো নাগরিক ছিলেন না।”
গত রবিবার অপরাধীদলগুলোর সহিংসতার মাত্রা বেড়ে গেলে হেইতিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল হেনরি দীর্ঘদিন ধরে বিলম্বিত জাতিসংঘের সমর্থনপুষ্ট মিশন নিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য নাইরোবিতে ছিলেন।
কেনিয়া গত বছর ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেবে। তবে দেশটিতে কয়েক মাস ধরে চলমান অভ্যন্তরীণ আইনি ঝামেলার কারণে এই মিশনের কার্যক্রম কার্যত: স্থগিত হয়ে পড়ে।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতোর সঙ্গে হেইতি সংকট নিয়ে কথা বলেছেন এবং দুই নেতা দেশটিতে আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি বহুজাতিক নিরাপত্তা মিশন গঠনের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের কথা আবারও নিশ্চিত করেছেন।
সাদার্ন কমান্ড তাদের বিবৃতিতে বলছে, ওয়াশিংটন এসব লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের দূতাবাস হেইতির মানুষকে সমর্থন জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্যোগগুলোকে সামনে এগিয়ে নিতে অবিচল রয়েছে। যার মধ্যে আছে হেইতি ন্যাশনাল পুলিশের প্রতি সমর্থন দেওয়া, জাতিসংঘের অনুমোদনপ্রাপ্ত বহুজাতিক নিরাপত্তা সমর্থন (এমএসএস) মিশন চালু এবং মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর নিশ্চিত করা।”