নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পর্যটকরা নিষিদ্ধ

ফাইল - সাংবাদিকরা ফ্রান্সের ইভরি-সুর-সেইনে প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিক পোস্টারের ছবি তুলছেন। (২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ )

মঙ্গলবার ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পর্যটকরা দেখতে পারবেন না। কারণ হিসেবে, অনুষ্ঠান চলাকালীন সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকির বিষয়টি নিয়ে দেশটির সতর্কতার কথা বলা হয়েছে।

নির্দিষ্ট কোন নিরাপত্তা হুমকি চিহ্নিত করা না গেলেও চরমপন্থী গোষ্ঠী ও তাদের কর্মীদের আক্রমণ থেকে শুরু করে, রাশিয়ান সাইবার আক্রমণ পর্যন্ত সম্ভাব্য একাধিক হুমকি রয়েছে বলে মঙ্গলবার ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানান।

গত এক দশক ধরে ইসলামি চরমপন্থীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ফ্রান্স। গত অক্টোবরে সন্দেহভাজন এমন এক চরমপন্থী একটি স্কুলে প্রবেশ করে একজন শিক্ষককে ছুরিকাঘাত করার পর দেশটিকে সন্ত্রাসী হামলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতায় উন্নীত করা হয়।

গত সপ্তাহেই, এক ব্যক্তি প্যারিসের টাউন হলের এক কর্মীর কাছ থেকে, প্যারিস অলিম্পিকের নিরাপত্তা পরিকল্পনা চুরি করলে তাকে তাকে সাত মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাছাড়া, অন্যান্য নিরাপত্তা হুমকির জন্য ফ্রান্স এখন উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।

ফ্রান্স প্রাথমিকভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিতির ব্যাপারে যে ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার অনেকটাই পরিবর্তন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানটিতে পর্যটকসহ প্রায় ৬ লক্ষ দর্শককে ধারণ করা সম্ভব হবে আশা করা হয়েছিল যার বেশিরভাগই বিনামূল্যে দেবার পরিকল্পনা ছিল। এখন সেখানে কোটা সিস্টেমের মাধ্যমে এবং এবং অলিম্পিকের আসর বসবে এমন শহরগুলো বেছে বেছে সেখান থেকে বাছাই করা মানুষের মধ্যে থেকে মোট ২ লক্ষ ২২ হাজার জন বিনামূল্যে অনুষ্ঠানটি দেখার সুযোগ পাবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দর্শকদের মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করবে।

গত সপ্তাহে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অলিম্পিক পরিকল্পনা নির্বাহী ল্যাম্বিস কনস্ট্যান্টিনিডিস বলেন, উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন প্রতিনিধিদের জন্য বিশেষ সুরক্ষার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল এর মধ্যে রয়েছে।

আগের বছরগুলোর চেয়ে এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান একদমই ভিন্ন হবে। অনুষ্ঠানটি স্টেডিয়ামে না হয়ে সেইন নদীর তীরে হবে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “গেমস ওয়াইড ওপেন”।

২৬ জুলাই থেকে গেমস শুরু হবে। এসময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো ইভেন্ট জুড়ে কয়েক হাজার পুলিশ কর্মকর্তা ও সেনা মোতায়েন থাকবে।

প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এপি এবং এ এফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।