সিরিয়ার জিহাদি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিরল এক বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে শত শত মানুষ

ফাইল ছবি - দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সুইডায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সমর্থনে, ইদলিবে সিরিয়ার বিরোধীদের পতাকা উত্তোলন করছে একটি মেয়ে (২৫ আগস্ট, ২০২৩) । ২০২৪ সালের ১ মার্চ সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ওই অঞ্চলের জিহাদি শাসকদের বিরুদ্ধে আরও বিক্ষোভ ঘটে।

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিহাদি শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরল বিক্ষোভে শুক্রবার শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বিদ্রোহী দল নিয়ন্ত্রিত শাসক দলের হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার এক সপ্তাহ ধরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এই বিক্ষোভের ঘটনার সুত্রপাত হয়।

ইদলিব প্রদেশের প্রায় অর্ধেক এবং হামা, আলেপ্পো ও লাতাকিয়ার কিছু অংশ আল-কায়েদার সাবেক সহযোগী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রাধীন এই অঞ্চলটি বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের আশ্রয়স্থল। এদের অধিকাংশই রাশিয়া ও ইরান সমর্থিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের হাতে বন্দি থাকা বা পুনর্দখল করা দেশের অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে সেখানে অবস্থান করছে।

এএফপির এক সংবাদদাতা জানান, ইদলিবের ক্লক টাওয়ারের চারপাশে কিছু সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে এইচটিএস নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। সেখানে এক ব্যক্তির হাতে ব্যানারে "বাক স্বাধীনতা ও মতামত কোনও অপরাধ নয়" লেখা দেখা যায়।

৩০ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী আব্দুল রহমান তালিব বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্যই আমরা রাস্তায় নেমেছি, আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি। “

আরেকজন বিক্ষোভকারী মোহাম্মদ আসাফ এএফপিকে বলেন, “ একজন যুবক নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে। আমরা সেই অপরাধ জানার পর বিক্ষোভে নেমেছি। আমাদের দাবী পরিস্কার: জোলানিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে, বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে, আমাদের ওপর তাদের যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তা বন্ধ করতে হবে।”

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে , ৮ মাস এইচটিএস ‘এর হেফাজতে থাকার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি এক বিদ্রোহী যোদ্ধা নির্যাতনের মুখে নিহত হয়। ইদলিব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পর, এইচটিএস নিজস্ব বেসামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে, যা তুর্কি সীমান্তে শুল্ক সংগ্রহ করে।

মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন এইচটিএসের বিরুদ্ধে নির্যাতন, যৌন সহিংসতা ও জোরপূর্বক গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।