উপর্যুপরি ব্যবস্থা গ্রহণ: বাইডেন তুলে ধরেন উপাত্তের নিরাপত্তা বিষয়ে চীনের হুমকি

ফাইল: যুক্তরাষ্ট্রের প্রিসেডন্ট জো বাইডেন এশিয়া-প্যাসিফিক ইকনমিক কো-অপারেটিভ ফোরামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। নভেম্বর ১৫, ২০২৩।

বাইডেন প্রশাসন যখন গাজা ও ইউক্রেনের মতো জরুরি বিষয়গুলোর দিকে নজর দিচ্ছে তখনও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চীনের বিরুদ্ধে উপর্যুপরি একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছেন । যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রধান কৌশলগত বৈরি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চাপ বহাল রেখে এই সব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

চীনসহ বিদেশি বৈরিপক্ষের কাছ থেকে আমেরিকানদের ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষার জন্য এক সপ্তাহের মধ্যেই , যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন একটি নির্বাহী আদেশ ঘোষণা করেছে। এর ফলে চীনা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে এমন ধরণের সম্পৃক্ত বাহনের মাধ্যমে সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকির ব্যাপারে একটি তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। তা ছাড়া মস্কোর ইউক্রেন হামলার সমর্থক চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেয়া এই সব ব্যবস্থা , নভেম্বর মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় তাঁর সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর শীর্ষ বৈঠকের পর সম্পর্কের যে উষ্ণতা দেখা দিয়েছিল তার বিপরীতমুখী। ঐ বৈঠকের লক্ষ্য ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নত করা যা কীনা বৈরিতা ও অবিশ্বাসের কারণে কয়েক দশকের মধ্যে নিম্নতম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।

ঐ শীর্ষ বৈঠকের পর উভয় তরফ থেকে কুটনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে যার মধ্যে রয়েছে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক। ২০২২ সালে প্রতিনিধি পরিষদের প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলসির তাইওয়ান সফরের পর এই সম্পর্ক স্থবির হয়েছিল।

জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে কর্মী পর্যায়ের আলোচনা আবার শুরু হওয়ায় এটা নিশ্চিত করা গিয়েছে যে এ বছর শেষের দিকে তাইওয়ানের নির্বাচনের ঠিক আগে দু পক্ষ প্রণালীর দু পাশ থেকে বড় রকমের সংঘাত এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই উন্নত হয় যে জানুয়ারি মাসেই বেইজিং যুক্তরাষ্ট্র-চীনের কোটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫ তম বার্ষিকী পালন করে ।

জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়

পাল্টাপাল্টি ভাবে এই ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারটি হোয়াইট হাউস এড়িয়ে গেছে। হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সচিব ওলিভিয়া ড্যাল্টন বৃহস্পতিবার এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে সংবাদদাতাদের বলেন বাইডেন , “ চীনের মতো দেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন”।

তিনি বলেন চীন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাপী এমন ধরণের যানবাহন দিয়ে বাজার ভরিয়ে দিচ্ছে যেখানে যে সব দেশ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে তাদের উন্নত প্রযুক্তি সংযুক্ত করা আছে।

সংবাদদাতাদের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের বানিজ্য বিভাগ এই ব্যাপারে নিশ্চিত হবার জন্য বৃহস্পতিবার একটি তদন্তের কাজ শুরু করেছে যাতে এটা নিশ্চিত করা যায় যে আমেরিকান রাস্তায় যে সব চীনা গাড়ি চালানো হচ্ছে সেগুলো যেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাকে খর্ব না করে , যেগুলো চীন ও বিদেশিদের কাছ থেকে আমেরিকানদের ব্যক্তিগত উপাত্ত রক্ষার ব্যাপারে নির্বাহী আদেশের অনুকুল হয়। এই নির্দেশে স্থান, বায়োমেট্রিক , স্বাস্থ্য ও আর্থিক তথ্য পাচার না করতে পারে তার নিশ্চয়তার কথাও বলা হয়েছে।

বাইডেন নিজেই এ ধরণের বিপদের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।