কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্রদের বিক্ষোভের মধ্যে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ করিয়েছে। ইমরান খানের মিত্ররা বলছেন, সাধারণ নির্বাচন ব্যাপক কারচুপি দ্বারা কলঙ্কিত হয়েছে।
৩৩৬ টি আসনের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। আশা ছিল, এর ফলে ২৪ কোটি ১০ লাখ মানুষের দেশ পাকিস্তানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে।
জাতীয় পরিষদের বিদায়ী স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান। শুক্রবার সকালে তার উত্তরসূরির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন এবং ততদিন পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি রাখেন।
ইমরান খানকে ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস, দুর্নীতি এবং প্রতারণামূলক বিবাহের বিতর্কিত অভিযোগে ভোটের আগের মাসগুলোতে যথাক্রমে ১০ বছর, ১৪ বছর এবং ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে সেনা সমর্থিত দমনপীড়নের মধ্যেই এই সাজা ঘোষণা করা হলো। কর্তৃপক্ষ তাদের শত শত নেতা, প্রার্থী এবং নারীসহ সমর্থকদের গ্রেপ্তার করেছে। তাদের অনেককে হেফাজতে থাকাকালীন নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নির্বাচনী প্রচার অভিযানে শেষ পর্যন্ত পিটিআই মনোনীত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ও ব্যালটে তাদের দলের বিশেষ ভাবে পরিচিত প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হন। ইমরান খানের সমর্থকরা তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অমান্য করে এবং অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেও পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে।
তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পাকিস্তান পিপলস পার্টির সাথে মিলে ইসলামাবাদে সংখ্যালঘু জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
নির্বাচনের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়ায় দেশীয় সমালোচক এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি দেশগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি তুলেছে।