রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে সেনা পাঠালে রাশিয়ার কাছ থেকে পশ্চিমাদের ‘দুঃখজনক’ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বার্ষিক ‘স্টেট অফ দ্য নেশন’ ভাষণে পুতিন বলেন, “(পশ্চিমা দেশগুলোর) অবশ্যই বুঝতে হবে যে, আমাদেরও অস্ত্র আছে যা তাদের ভূখণ্ডে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এইসব সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার এবং সভ্যতার ধ্বংস সম্পর্কিত একটি দ্বন্দ্বের হুমকি। ওরা কি সেটা বুঝতে পারে না?”
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছিলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধে পশ্চিমা সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও সম্ভাবনা রয়েই গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের নেতা ম্যাক্রোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বুধবার বলেছেন, তার দেশে রাশিয়ার আগ্রাসনের মধ্যে কয়েক প্রজন্মের জন্য ইউরোপের পথ নির্ধারিত হচ্ছে।
জেলেন্সকি বলেছেন, যুদ্ধে পুতিনের হার “সমস্ত স্বাধীন জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ” এবং রুশ এই নেতার ব্যর্থতাই “আমাদের নিরাপত্তা।”
বুধবার জেলেন্সকি ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অতি প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহের জন্য চেক নেতৃত্বাধীন উদ্যোগে অংশ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ার জন্য বেলজিয়ামের প্রশংসা করেছেন।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু বলেছেন, বেলজিয়াম এই অভিযানের জন্য ২১ কোটি ৬০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে।
জেলেন্সকি বলেন, মিত্ররা যে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা চাহিদার প্রয়োজনীয়তা বোঝেন তা প্রশংসাযোগ্য।
বুধবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ১০টি ড্রোন ও অনির্দিষ্ট সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাতভর রুশ হামলা অব্যাহত ছিল।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী ওডেসা এবং মাইকোলাইভ অঞ্চলে ১০টি ড্রোন ধ্বংস করার কথা জানিয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।