সৌদি আরবে ‘সন্ত্রাসবাদ’ এর অপরাধে ৭ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর; জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম

২০১৮ সালের ২২ মার্চ ওয়াশিংটনে দূতাবাসের একজন অনার গার্ড সদস্যের সামনে উড়ছে সৌদি আরবের পতাকা। ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে সৌদি আরব সাতজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছে

সৌদি আরবে ‘ সন্ত্রাসবাদ’ ‘এর অপরাধে মঙ্গলবার সাত জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে। ২০২২ সালের মার্চের পর মৃত্যুদন্ড প্রদানের এ টি দ্বিতীয় সর্বাধিক সংখ্যা।

সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে জানিয়ছে এই সাতজনের বিরুদ্ধে, “সন্ত্রাসী সংগঠন ও সত্ত্বা গঠন করা এবং অর্থায়ন করার” অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

সৌদি আরব হচ্ছে মৃত্যুদন্ড প্রয়োগকারী সব চেয়ে এগিয়ে থাকা রাষ্ট্র । সরকারি ঘোষণার হিসেবে এএফপি জানিয়েছে তারা এ বছর এ পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছে। ২০২৩ সালে তারা ১৭০ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে।

শাস্তি স্বরূপ মস্তক ছিন্ন করার জন্য কুখ্যাত এই দেশটি প্রায় দু বছর আগে একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে বিশ্বব্যাপী নিন্দার শিকার হয়েছে।

মঙ্গলবার যে ৭ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি তবে তাদের নাম ও উপাধি দেখে মনে হয়েছে তারা সৌদি নাগরিক।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তারা , “এমন ধরণের সন্ত্রাসবাদকে গ্রহণ করে যেখানে রক্তপাত ঘটাতে হয়, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও সত্ত্বাগুলোকে গড়ে তোলে ও অর্থায়ন করে এবং সমাজের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নষ্ট করা ও জাতীয় নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে এ সব করে বলে সরকারি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে।

এই প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যামনাল বলেছে ২০২২ সালে চীন ও ইরান ছাড়া অন্য যে কোন দেশের চেয়ে সৌদি আরবে সর্বাধিক লোকের প্রাণদন্ড কার্যকর করা হয়েছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ মনে করে “ সাধারণভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার” জন্য মৃত্যুদন্ড প্রদান প্রয়োজনীয় এবং তা শারিয়া আইন সম্পর্কে তাদের ব্যাখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

তবে সক্রিয়বাদীদের যুক্তি হলো যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দৃষ্টিভঙ্গিতে যে আরও উন্মুক্ত , সহনশীল সমাজ গঠনের প্রত্যাশাকে রয়েছে তাকে মৃত্যুদন্ড খর্ব করছে।