দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী দোষী সাব্যস্ত

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (ডানে), এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবি পাকিস্তানের লাহোরের একটি আদালতে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন। ১৭ জুলাই, ২০২৩। ফাইল ছবি।

ঘুষ হিসেবে জমি নেয়ার অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দেশটির দুর্নীতি বিরোধী আদালত।

রাজধানী ইসলামাবাদের নিকটবর্তী একটি কারাগার কেন্দ্রে এই বিচার প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছিল ওই কারাগারে ইমরান খান দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস এবং প্রতারণামূলক বিবাহসহ একাধিক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে গত আগস্ট থেকে দীর্ঘ সাজা ভোগ করছেন।

ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই মঙ্গলবারের অভিযোগের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, তাদের কাছে অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর এই দম্পতি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন এবং আগের সব অভিযোগের মতোই এগুলোকে তুচ্ছ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

সর্বসাম্প্রতিক দুর্নীতির মামলাটি অলাভজনক দাতব্য সংস্থা আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টকে কেন্দ্র করে। ২০১৮ সালে দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক মাস পরে ইমরান খান ও তার স্ত্রী এই ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজ হুসেনের কাছ থেকে স্কুলের জন্য মূল্যবান জমি পাওয়ার জন্য এই ট্রাস্ট ছিল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর একটি লোক দেখানো উদ্যোগ।

প্রসিকিউটররা বলছেন, জমির বিনিময়ে ইমরান খানের কাছ থেকে রিয়াজ কিছু অবৈধ সুবিধা পেয়েছিলেন।

তাদের অভিযোগ, অর্থ পাচারের মামলায় রিয়াজের ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ নিষ্পত্তির ব্যাপারটি এর সাথে জড়িত ছিল।

পিটিআই মঙ্গলবারের এক বিবৃতিতে ইমরান খানের ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগকে ‘তুচ্ছ’ অজুহাত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। পিটিআই বলেছে, “দান করা জমি কোনোভাবেই ইমরান খানের উপকারে আসে না কারণ এটি একটি দাতব্য সংগঠন।”

৭১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি উভয়েই দুর্নীতি সম্পর্কিত একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁরা ১৪ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। তিনি এই দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। এই দণ্ডের অধীনে তাকে ১০ বছরের জন্য জাতীয় রাজনীতিতে অংশ নেয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে।