যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর এক সদস্য ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে অগ্নিসংযোগ করেন এবং পরে মারা যান। এর আগে ওই ব্যক্তি ঘোষণা করেন, “আমি আর কোনও ভাবে গণহত্যার দোসর হয়ে থাকব না।” এই ঘটনাকে আপাতভাবে গাজায় যুদ্ধের প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মেট্রোপলিটান পুলিশ দফতর সোমবার বলেছে, ২৫ বছর বয়সী এই সৈন্যের নাম অ্যারন বুশনেল। তিনি টেক্সাসের সান আন্তোনিয়োর বাসিন্দা। অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
ডিসি ফায়ার ও ইএমএস অনলাইনে পোস্ট করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা আগুন নেভানোর পর ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেট্রোপলিটান পুলিশ দফতরের এক মুখপাত্র রবিবার বিকালে বলেছিল, ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিমান বাহিনীর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, এই ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তি একজন কর্মরত বিমান সেনা।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের বক্তব্য অনুযায়ী, ইন্টারনেটে লাইভ সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে সামরিক পোশাক পরিহিত ওই ব্যক্তি বলেছেন, “আমি আর কোনও ভাবে গণহত্যার দোসর হয়ে থাকব না।”
টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারপর ওই ব্যক্তি নিজের গায়ে স্বচ্ছ তরল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেন এবং চিৎকার করতে থাকেন “ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো।”
স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ এই ঘটনার তদন্ত করছে।
গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধের ফলে ইসরাইলের দূতাবাস বারবার বিক্ষোভের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
গাজায় এই যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থী ও ইসরাইলপন্থী একাধিক বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী গোষ্ঠী ও গাজার শাসক দল হামাস ৭ অক্টোবরের হামলায় ১২০০ ইসরাইলিকে হত্যা ও ২৫৩ জনকে জিম্মি করেছিল। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। হামাসের ওই হামলার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী উপকূলীয় ছিটমহলে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
ডিসেম্বরে এক বিক্ষোভকারী আটলান্টায় ইসরাইলি কনস্যুলেটের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন।