ডিপফেক,ইন্টারনেট অ্যাক্সেস কাটছাঁট নির্বাচনী কাভারেজকে কঠিন করে তুলেছে; বলছেন সাংবাদিকরা

একজন টিভি ক্রু সদস্য ২০২৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ইসলামাবাদে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে দেশের সংসদ নির্বাচনের ফলাফল দেখানো একটি স্ক্রিনের সামনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। ফাইল ছবি।

চলতি মাসে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশটির ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিপফেক ভিডিওসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা তথ্যের শিকার হয়েছেন।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিজয় দাবি করার বহুল আলোচিত এআই ভিডিও ছাড়াও ভুয়া ভিডিও ব্যবহার করে অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা ছিল। এ বিষয়ে ঐ কারারুদ্ধ নেতা সম্মতি দিয়েছিলেন।

বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ডিপফেক ভিডিও অনলাইনে শেয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটিতে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘোষণা দিতে দেখা গেছে।

পাকিস্তান পলিসি রিসার্চ গ্রুপ মিডিয়া ম্যাটার্স ফর ডেমোক্রেসির সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদাফ খান বলেন, এআই এবং ডিপফেক বিশেষ করে নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক।

তিনি বলেন, বিশেষ করে যখন ইমরান খানের মতো নেতার ডিপফেক প্রকাশ করা হয়, তখন “জনসাধারণের প্রতারিত হও্রয়ার অনেক বেশি সম্ভাবনা থাকে।” সাদাফ খান বলেন, এটি এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যেখানে মূলত সত্য নয় এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্ভাবনা বেশি।

তিনি বলেন, যখন এমনটা ঘটে, তখন এটি “নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অখণ্ডতা এবং গণতন্ত্রের মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।”

নিউ মেক্সিকো স্টেট ইউনিভার্সিটির কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড লেটার্স’এর ডীন এনরিকো পন্টেলি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে এআই ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

পন্টেলি তবে নেতিবাচক দিক হলো, এই প্রযুক্তি “চাহিদা অনুসারে জাল সামগী তৈরি করতে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যা ‘প্রত্যাশা’ করে তার উপস্থাপনাটি সেই ভাবে অভিযোজিত করতে সক্ষম।”

এই প্রতিবেদনটি ভয়েস অফ আমেরিকা উর্দূ বিভাগ থেকে নেয়া হয়েছে।