কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, বুধবার ব্রাজিলে জি-টুয়েন্টি গ্রুপের বৈঠকে পশ্চিমা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ‘রাশিয়াকে অবশ্যই তার আগ্রাসনের মূল্য দিতে হবে।’
দুই দিনের বৈঠকের প্রথম দিনে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, ইতালি ফ্রান্স ও নরওয়ের শীর্ষ কূটনীতিকরা একই ধরনের মন্তব্য করেন।
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইদে সাংবাদিকদের বলেন, ল্যাভরভ শান্তভাবে ইউক্রেনের ঘটনা সম্পর্কে ‘বিকল্প তথ্য দিয়ে’ ক্যামেরনের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন।
ল্যাভরভ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি। দুই বছর আগে শুরু হওয়া ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সেনা অভিযানের’ প্রাথমিক যৌক্তিকতা ছিল ইউক্রেনকে ‘নাৎসিমুক্ত করা।’ সাম্প্রতিককালে মস্কো জোর দিয়ে বলেছে, পশ্চিমা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরক্ষা প্রয়োজন।
এইদে বলেন, অধিবেশনে মূলত গাজা ও ইউক্রেনের সংঘাতের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। নরওয়ের মন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন একটি মুক্ত ও স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আবির্ভূত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সমর্থন করতে হবে।’
এ বছরের জি-টোয়েন্টির প্রেসিডেন্ট ব্রাজিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের সূচনা করে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বহুজাতিক সংস্থাকে সহিংসতা বন্ধ করতে ব্যর্থতার জন্য দোষারোপ করে। সহিংসতায় বহু নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন রিও বৈঠকে যাওয়ার পথে ব্রাসিলিয়ায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইগনাসিও লুলা দা সিলভার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং বিশ্ব শাসনকে আরও কার্যকর করার জন্য ব্রাজিলের এজেন্ডার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই কূটনীতিক বিশ্ব শাসনকে আরও কার্যকর করার জন্য ব্রাজিলের এজেন্ডার প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন। ব্রাজিলের নেতা ইসরাইলের যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি গণহত্যার সাথে তুলনা করার পর কূটনৈতিক বিরোধের মধ্যে লুলার সাথে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই কূটনীতিক।