যুক্তরাষ্ট্র বুধবার বলেছে, জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালাতের উচিত হবে না এমন কোন পরামর্শমূলক মতামত দেয়া, যাতে ইসরাইলকে কোন নিরাপত্তা গ্যারান্টি ছাড়াই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় ভুমি থেকে “এই মুহূর্তে এবং বিনা শর্তে’’ সরে যেতে বলা হবে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভারপ্রাপ্ত আইন পরামর্শক রিচার্ড ভিসেক দ্য হেইগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস-এর ১৫ জন বিচারকের প্যানেলকে বলেন, তাদের উচিত হবে না দশকের পর দশক ধরে চলা ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংঘাত এক পরামর্শমূলক মতামতের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা, যেটা ‘’শুধুমাত্র একটি পক্ষের, ইসরাইলের, কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে।”
“পশ্চিম তীর এবং গাজা থেকে ইসরাইলের প্রত্যাহার নিয়ে যে কোন পদক্ষেপ ইসরাইলের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চাহিদা বিবেচনা করে নিতে হবে,” তিনি বলেন।
শুনানির তৃতীয় দিনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে তাদের বক্তব্য দেয়। ইসরাইল ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইলি যুদ্ধের পর যেসব জমি দখল করেছে, সেখানে তাদের কর্মকাণ্ডের আইনগত ভিত্তি নিয়ে পরামর্শমূলক মতামত দেয়ার জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ আদালতকে অনুরোধ করেছে। আদালতের মতামতের আইনগত কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
বায়ান্নটি দেশ ইসরাইলি দখলদারিত্ব নিয়ে তাদের মতামত জানাচ্ছে, যাদের বেশিরভাগ ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণের অবসান চাইছে।
ভিসেক বলেন যে, তাদের সামনে যে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে, সেটা আদালত “শান্তির বিনিময়ে জমি নীতির ভিত্তিতে তৈরি কাঠামো এবং দখলদারিত্ব সংক্রান্ত আইনের ভেতরে থেকে বিবেচনা করতে পারে।”
কিন্তু তিনি বলেন, আদালত যে মতামত দেবে, সেটা “এই সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর উপর, এবং যারা একটি টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে, তাদের উপর প্রভাব ফেলবে।”
এ সপ্তাহের আগের দিকে, ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মাল্কি ফিলিস্তিনি আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য আদালতের প্রতি আহবান জানান। তিনি আদালতের প্রতি “ইসরাইলি দখলদারিত্বকে বেআইনি” ঘোষণা করা আহবান জানান, এবং তারা যেন বলে “অবিলম্বে, সম্পূর্ণ ভাবে এবং বিনা শর্তে এই দখলদারিত্বর অবসান হতে হবে।”
পাঁচ মাস ধরে গাজায় হামাসের সাথে ইসরাইলের চলা যুদ্ধের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভাবনা নিয়ে আগাচ্ছে। তবে ইসরাইলি নেতারা এর বিরধিতা করছে।