বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবে। ইন্দোনেশিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকা প্রাক্তন সেনা জেনারেল প্রাবোও সুবিয়ান্তো বিজয় দাবি করেছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা যোগাযোগ উপদেষ্টা জন কার্বি হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিং-এ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “উপযুক্ত সময়ে আমরা আমাদের অভিনন্দন জানাবো। আমরা এর জন্য নির্দিষ্ট তারিখ বা নির্দিষ্ট সময় দিতে পারিনি, কারণ আমি বুঝতে পারছি যে, ফলাফল এখনো আসছে। আমরা ইন্দোনেশিয়ার জনগণের ভোট এবং কণ্ঠস্বরকে সম্মান জানাবো। ”
আগামী মাসে সাধারণ নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক হিসেব প্রকাশ করা হবে। তবে প্রাবোও দাবি করেন, তিনি জয়লাভ করেছেন। রাজধানী জাকার্তায় তার হাজার হাজার সমর্থককে বলেছেন, এটি “সকল ইন্দোনেশিয়ানের বিজয়।”
২০২০ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ১৯৯৮ সালে তার তৎকালীন শ্বশুর প্রেসিডেন্ট সুহার্তোকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময় গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের অপহরণ ও নির্যাতন এবং পূর্ব তিমুরে সামরিক অপরাধের সাথে জড়িত থাকার সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আরোপিত প্রাবোওর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর কার্যত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
প্রাবোও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে কখনো অভিযোগ আনা হয়নি।
বাইডেন প্রশাসন প্রাবোওর ট্র্যাক রেকর্ড নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কার্বি জোর দিয়ে বলেন, মানবাধিকার বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির ‘মূল ভিত্তি’।
প্রাবোও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর ব্যাপক জনপ্রিয় নীতি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জোকোই “অর্থনীতিই প্রথম ” এজেন্ডা নিয়ে শাসন পরিচালনা করেন। এর ফলে দ্রুত মোট দেশজ উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি এসেছে; বিশ্বের চতুর্থ জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়াকে মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিয়ে এসেছে।