বিতর্কিত নির্বাচনের পর নতুন সরকার পেতে চলেছে পাকিস্তান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের লাহোরে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে দেশটির পরবর্তী প্রধান নির্বাহী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এর আগে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক দল গত সপ্তাহে দেশটির বিতর্কিত নির্বাচনের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা নিরসনে তার প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএল-এন) বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ৮০টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হলেও ২৬৬ আসনের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তা যথেষ্ট নয়।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি আসনে জয়লাভ করে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।

জারদারি ইসলামাবাদে সংবাদদাতাদের বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে তাঁর দল নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে পার্লামেন্টে প্রয়োজনীয় ভোটের ব্যবস্থা করবে।

তবে জারদারি বলেছেন, তার দল মন্ত্রিসভায় অংশ নেবে না। বিশ্লেষকরা বলছেন,এর ফলে প্রায় ২৪ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার পারমাণবিক শক্তিধর দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে একটি দুর্বল ও অস্থিতিশীল সরকার তৈরি হতে পারে।

পিটিআই’এর এই দুই তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ইমরান খান কারাগার থেকে তার পরিবারের মাধ্যমে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, তারা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা তৈরির কাজে যোগ দেবেন।

“৭১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বলেন,“পাকিস্তানের জনগণ স্পষ্টভাবে তাদের রায় ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানের নির্বাচনে গণতন্ত্র ও নিরপেক্ষতার ভীষণ প্রয়োজন। ”

তিনি আরও বলেন, “ভোট চুরি করে সরকার গঠনের দুঃসাহসিকতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছি। দিনে দুপুরে এ ধরনের ডাকাতি শুধু নাগরিকদের প্রতি অসম্মান নয়, দেশের অর্থনীতিকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দেবে।”

পিটিআই অভিযোগ করেছে, ভোটে কারচুপি হয়েছে এবং তারা কিছু ফলাফলকে আইনি চ্যালেঞ্জ করেছে। পাকিস্তানের তত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচন কমিশন এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।