বুধবার উত্তর কোরিয়া সাগরে একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী একথা জানিয়েছে। জানুয়ারির পর থেকে এটি উত্তর কোরিয়ার পঞ্চম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা যা এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলের একটি এলাকা থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পরীক্ষা করে দেখছে। ঠিক কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বা সেগুলো কতদূর ভ্রমণ করেছে তা দক্ষিণ কোরিয়া জানায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের বছরে উত্তর কোরিয়া তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। এর দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হচ্ছে ওয়াশিংটনকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার ধারণা মেনে নিতে বাধ্য করা এবং শক্তিশালী অবস্থান থেকে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ছাড় আদায়ে বাধ্য করা।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি যুদ্ধংদেহী বিবৃতি জারি করে চলেছেন। এর মধ্যে যুদ্ধ-বিভক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে পুনর্মিলনের উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য পরিত্যাগ করার ঘোষণা এবং উস্কানি দেয়া হলে দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণে ধ্বংস করার হুমকি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সর্বসাম্প্রতিক উৎক্ষেপণটি ছিল এই বছর উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ ক্ষেপণাস্ত্র-উৎক্ষেপণ। এর মধ্যে ১৪ জানুয়ারি দেশের প্রথম সলিড ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে গুয়ামের সামরিক কেন্দ্রসহ প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের দূরবর্তী অবস্থানগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার প্রচেষ্টা তুলে ধরা হয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়া সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপের জন্য নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যা জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় তাদের সম্মিলিত সামরিক মহড়া জোরদার এবং তাদের পারমাণবিক প্রতিরোধ কৌশল বৃদ্ধি করছে।