কাতার ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন অফিসারকে মুক্তি দিয়েছে

দোহাতে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির ছবি এবং ভারত সহ বিভিন্ন দেশের পতাকা প্রদর্শিত একটি বিলবোর্ড। ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪। এপি ফাইল ছবি।

প্রথমে মৃত্যুদণ্ডে আর তারপর তার পরিবর্তে কারাদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ৮ জন প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনী অফিসারকে মুক্তি দিয়েছে কাতার। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গত বছর ২০২৩ সালে তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছিল কাতার আদালত।

কাতারের গুপ্তচর সংস্থা স্টেট সিকিওরিটি ব্যুরো ২০২২ সালের ৩০ অগাস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীর ৮ জন প্রাক্তন অফিসারকে গ্রেফতার করে। কাতারের সশস্ত্রবাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস সংস্থায় কর্মরত ছিলেন সাত জন ভারতীয় প্রাক্তন নৌবাহিনী অফিসার।

কাতারের তরফে সরকারিভাবে এই গ্রেফতারি নিয়ে কিছু জানানো না হলেও এই ৮ জন অফিসারের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ দায়ের করা হয়। কাতারের উন্নত সাবমেরিনগুলির বিষয়ে তারা ইজরায়েলকে তথ্য পাচার করেন বলে অভিযোগ করে কাতার সরকার।

গত বছর, ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর ধৃত ৮ জন ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় কাতারের আদালত। কাতার আদালতের এই নির্দেশ জানার পরই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে।

মৃত্যুদণ্ডের স্থগিতাদেশের জন্য অভিযুক্তদের পরিবার ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানায়। এরপর কাতারের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ভারতের কেন্দ্র সরকার।

সেই আবেদনের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় কাতার আদালত। এরপর রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারি জানা যায়, প্রাক্তন নৌবাহিনী অফিসারদের কারাদণ্ডের সাজা মৌকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেয়েছেন তারা।

আট জন প্রাক্তন নৌবাহিনী কর্তার মধ্যে সাত জন কাতারের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতে গিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তারা দেশে ফিরে এসেছেন। এক জনের এখনও ফেরা বাকি।

ভারত সরকারের অনুরোধেই প্রথমে মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ, আর তারপর আট জনকে সম্পূর্ণ মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কাতার সরকার।

সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সময় ভোরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এমনই বিবৃতিতে দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কাতারে আটক আট ভারতীয় নাগরিক, যারা দাহরা গ্লোবাল কোম্পানিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন, তাদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। আট জনের মধ্যে সাত জন দেশে ফিরে এসেছেন। আমরা ভারতীয়দের মুক্তি দেওয়া ও তাদের দেশে ফেরার অনুমতির সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছি।”