পাকিস্তানের নির্বাচনী ভোট গণনা রবিবার সম্পন্ন হয়েছ। জাতীয় পরিষদের সর্বাধিক আসন জিতে নিয়েছে কারাবন্দী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্ররা। তবে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ক্ষেত্রে এটা যথেষ্ট নয়।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে দেখা যায়, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ২৬৬ আসনের মধ্যে ১০১টি আসনের দাবি করছেন।দ
আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন তাদের পরেই জায়গা করে নিয়েছেন। দলটি ৭৫ টি আসন জিতে এবং বৃহত্তম একক সংসদীয় দলের যোগ্যতা অর্জন করেছে। কারণ পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে আসায় তারা এই অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
৫৪টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ২৪ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় তিন দিন পর নির্বাচন কমিশন অস্বাভাবিক রকম দেরির পর চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করে। পাকিস্তান নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে দেশব্যাপী মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও স্থগিত করেছিল। যা কিনা ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। দেশটির সামরিক সমর্থিত সরকারের পক্ষ নিয়ে নির্বাচনের ফলাফলের হেরফের করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠে।
পিটিআই এর নেতা খানের সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কারণ নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন মেনে না চলার কারণ দেখিয়ে তাদের দলের নির্বাচনী প্রতীকের অধীনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিষেধ করে দেয়। এই সিদ্ধান্তটি একই সাথে অসাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।
যাই হউক, চূড়ান্ত ভোট গণনা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কোনও একক দলেরই স্বাধীনভাবে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আসন নেই। এই নির্বাচনের ফলাফল ২০২২ সালে ক্ষমতায় থাকা ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটাতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৭১ বয়সী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং সরকারি পদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে তিনি সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।