গাজায় চার মাস ধরে চলা ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে কোনো যুদ্ধবিরতি বা জঙ্গিদের হাতে আটক আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার জন্য নতুন কোনো চুক্তি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্য থেকে ওয়াশিংটনে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
ব্লিনকেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা আশাবাদী যে লড়াই বন্ধ করা যাবে এবং অবশিষ্ট ১০০ বা তার বেশি জিম্মি মুক্তি পাবে। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হামাসের পরিকল্পনাকে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ বলে উপহাস করে বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী ‘নিরঙ্কুশ বিজয়’ অর্জনের জন্য লড়াই করবে।
এদিকে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে, ইসরাইল-হামাস সংঘাত নিরসনে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার ওয়াশিংটনে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহকে আমন্ত্রণ জানাবেন।
সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গান্টজ ও গ্যাবি আইজেনকোটসহ নেতানিয়াহুর ওয়ার ক্যাবিনেটের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সফর সমাপ্ত করেন ব্লিনকেন। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেন, তিনি “জিম্মিদের ওপর” গুরুত্ব দেবেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা উভয়েই জিম্মিদের তাদের পরিবারের কাছে ফেরার ওপর” গুরুত্ব দিচ্ছি।
তবে বুধবার গভীর রাতে ব্লিনকেন স্বীকার করেছেন, ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা যা কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হওয়ার কথা ছিল ও জিম্মিদের মুক্ত করার কথা ছিল, তার সাথে গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের জন্য হামাসের আহ্বান, গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করা এবং হামাসের অঞ্চলটি শাসন করা ও এটির সেনা সক্ষমতা পুনর্নির্মাণের অধিকারের মধ্যে তীব্র পার্থক্য রয়েছে।
হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার কায়রোতে অবস্থান করছে।
হামাসের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে নেতানিয়াহু গাজায় আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার প্রধান পরিবেশক ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
নেতানিয়াহু ও অন্যান্য ইসরাইলিদের প্রতি ব্লিনকেন আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে পদক্ষেপ না নেয়।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।