বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিতর্কিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের দিন দেশব্যাপী মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটারের জন্য ভোটকেন্দ্র খোলার ঠিক আগ মুহূর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়, ‘সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি প্রশমিত করতে’ এবং ‘আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে’ ফোন সেবা বিঘ্নিত করা হচ্ছে। এতে ইন্টারনেট বিভ্রাট নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
বুধবার বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণা কার্যালয়ের বাইরে দুটি পৃথক বোমা বিস্ফোরণে ৩০ জন নিহত হওয়ার পর এই বিঘ্ন ঘটে।
সরকার বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল দেশটিতে আনুমানিক ২৪ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার জন্য কয়েক হাজার ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য সাড়ে ছয় লাখের বেশি সেনা, আধা-সামরিক ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কিন্তু ফোন ও ইন্টারনেট সেবা স্থগিতের পর ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে যে, প্রধানত কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের অনুগত প্রার্থীদের আধিপত্য বিস্তারে বাধা দিতে পাকিস্তানের সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনে কারচুপির এটি আরেকটি প্রচেষ্টা।
পাকিস্তানের ৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি সাধারণ আসনের জন্য ৫ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের বিধানসভা আসনের জন্য প্রায় ১২ হাজার ৬০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্যালাপ পোলিং কোম্পানি নির্বাচনের আগে এক জরিপে দেখেছে, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পাকিস্তানির তাদের নির্বাচনের সততার প্রতি আস্থার অভাব রয়েছে।
গ্যালাপের গবেষকরা বলেছেন, পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন ‘জনগণের স্পষ্ট ক্ষোভ’ ও অসন্তোষের মুখোমুখি হয়েছে এবং ভোটের আগে অসন্তোষ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।