বাগদাদে হামলায় ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীর কমান্ডার নিহত, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার সমালোচনা করেছে ইরাক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত এই ছবিতে বাগদাদে একটি গাড়ি পুড়তে দেখা যাচ্ছে। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। (ভিডিওটি রয়টার্স/রয়টার্সের সৌজন্যে)

বৃহস্পতিবার ইরাক যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলার তীব্র সমালোচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বলেছে, ওই হামলায় ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীর একজন নেতা নিহত হয়েছে। ইরাকের একজন মুখপাত্র এই হামলাটিকে “নির্লজ্জ হত্যাকাণ্ড” বলে অভিহিত করেছেন যা “বেসামরিক জীবন বা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা দেখায় না।”

ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া রাসুল বলেছেন, ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীকে মোকাবিলায় ইরাকে তৎপরতা চালানো যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ‘আমাদের ভূখণ্ডে তাদের কারণ ও উদ্দেশ্য থেকে ক্রমাগতভাবে বিচ্যুত হচ্ছেন।’

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অভিযানের তদারকির দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, মঙ্গলবারের হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহর একজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। তিনি ‘ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর হামলার সরাসরি পরিকল্পনা ও অংশগ্রহণের জন্য দায়ী’ ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে নিশ্চিত করেছেন, কমান্ডার অপারেশন অফিসার হলেন উইসাম মোহাম্মদ আল-সায়েদি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে তার ইরাকি পরিচয়পত্র দেখা গেছে। ওই পরিচয়পত্র তার শরীরে পাওয়া গেছে।

এর আগে ভয়েস অফ আমেরিকা জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছিল, তবে তারা আল-সায়েদির নাম প্রকাশ করেনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাগদাদের একটি মহাসড়কে একটি গাড়িতে আগুন জ্বলছে।

অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায় ১৭০টি ড্রোন, রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র হামলাটি চালিয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের ওই হামলায় গত সপ্তাহে জর্ডানের উত্তরাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন সেনা নিহত এবং কয়েক ডজন সেনা আহত হয়েছে

শুক্রবার ইরান ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বসাম্প্রতিক মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইরাকের তিনটি এবং সিরিয়ার আরও চারটি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে এবং তারা কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সেন্টার এবং গোয়েন্দা কেন্দ্র থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন স্টোরেজ স্থাপনাসহ ৮০টির বেশি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে।