উত্তর প্রদেশে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় ইন্ডিয়া জোটের শরিক দল আরএলডি

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং আরএলডি দলের প্রধান জয়ন্ত চৌধুরী।

ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক রাষ্ট্রীয় লোক দল বা আরএলডি, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সঙ্গে আসন বোঝাপড়া প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। মঙ্গলবার ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সময় রাতে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

পশ্চিম উত্তর প্রদেশে বিজেপি আঞ্চলিক দল আরএলডি-কে অন্তত পাঁচটি আসন ছেড়ে দিচ্ছে যেগুলি থেকে আরএলডি প্রার্থীরা রাজনৈতিক অঙ্কে সহজেই জিতে যেতে পারবেন। আরএলডি দলের প্রধান, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং-এর নাতি জয়ন্ত চৌধুরীর সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কথাবার্তা পাকা হয়ে গিয়েছে।

উত্তর প্রদেশে রয়েছে, ভারতের মধ্যে লোকসভার সবচেয়ে বেশি আসন। ২০১৯ সালে লোকসভার ভোটে এই রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৬৬টি দখল করেছিল। এবার বিজেপি শিবিরের পরিকল্পনা ৮০টি আসনই দখলের।

সেই কারণেই সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস ও আরএলডি-র বোঝাপড়া হয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্যের বিজেপি শিবির আরএলডি প্রধান জয়ন্ত চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল।

দু'বছর আগে উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি এবং আরএলডি যৌথভাবে লড়াই করে। সেই বোঝাপড়ার সুবাদে জয়ন্ত চৌধুরীকে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে আরএলডি সূত্রে খবর, দলের প্রধান জয়ন্ত চৌধুরী মনে করেছেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধা তার দলের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা নিয়ে উত্তর প্রদেশে প্রবেশ করবেন। সেই সময়েই আরএলডি-বিজেপির বোঝাপড়া সরকারিভাবে প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার ৬ ফেব্রুয়ারি সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রায় সামিল হতে তিনি ও তার দল রাজি। যদিও আগামী লোকসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন রফা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

অখিলেশ যাদব কয়েক দিন আগেই একতরফা ভাবে কংগ্রেসকে ১৫টি আসন দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন ও নিজেদের বেশ কিছু আসনের প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করেছেন। এই ঘোষণায় কংগ্রেস শিবিরে কিছুটা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

উত্তর প্রদেশের দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আলোচনা চালিয়ে সমস্যা মেটানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস, দুই দলের অভ্যন্তরেই দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে আরএলডি-র সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। কারণ পশ্চিম উত্তর প্রদেশে জাঠ সম্প্রদায়ের ভোট পেতে দুই দলের জন্যই আরএলডি-র সমর্থন জরুরি।