ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরল। সেই রাজ্যের কোঝিকোড়ের একটি আদালত এক ব্যক্তিকে ১৩৩ বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় মুদ্রায় আট লাখ আশি হাজার জরিমানাও করেছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই শাস্তির কারণ সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিজের দুই নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালত তিনটি আইনের একাধিক ধারায় সাজার মেয়াদ নির্ধারণ করেছে।
সাধারণত, একাধিক ধারায় দীর্ঘ সাজা হলে আদালত যাবজ্জীবন কারাবাসের রায় দিয়ে থাকে, কিন্তু ১৩৩ বছরের জেলের সাজার নজির খুব বেশি নেই।
কেরলের আদালত তা না করে ১৩৩ বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছে। বিচারক আশরফ এ এম বলেছেন, "অপরাধীদের কঠোর বার্তা দিতেই এই সাজা দেওয়া হয়েছে।"
দুই নাবালিকাই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির মেয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে চল্লিশ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তি তার ১৩ বছরের বড় কন্যাকে এক বছর ধরে ধর্ষণ করেন। ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পাশাপাশি ১১ বছরের শিশু কন্যাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগও ছিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় কন্যার কিছু শারীরিক সমস্যার সূত্র ধরে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর সন্দেহ হয়। কন্যা যৌন নির্যাতনের শিকার বুঝতে পেরে তিনি কিশোরী মেয়েটির সঙ্গে একান্তে কথা বলে জানতে পারেন তার স্বামী যৌন নির্যাতন করেছেন।
দুই কন্যার মা, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্ত্রী তখন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে স্বামীর অপরাধের কথা জানান। তারপর চাইল্ড লাইন সূত্রে স্থানীয় পুলিশ খবর পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনাটি দু' বছর আগের।
আদালত জানিয়েছে, ঘটনার নৃশংসতাকে বিবেচনা করে পকসো, জুভেনাইল জাস্টিস এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির ধারায় অভিযুক্তের বিচার হয়।
বড় কন্যার উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তকে ১২৩ বছর কারাবাসের সাজা দেয় আদালত। আরও দশ বছর সাজা হয় ছোট কন্যার প্রতি অপরাধের কারণে।
আদালত জেলা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিটিতে অবিলম্বে দুই নাবালিকাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে।