হুথিরা লোহিত সাগরে আরও ৬টি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস গ্রেভলি থেকে একটি টমাহক ল্যান্ড অ্যাটাক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে । ফটোঃ ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। (ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড/রয়টার্সের মাধ্যমে হ্যান্ডআউট)

ইরান সমর্থিত হুথি যোদ্ধারা আবারও যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান, - আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের পথে হামলা বন্ধ করতে হবে, অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে - উপেক্ষা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এবার ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে লোহিত সাগরে ছয়টি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে একথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী মঙ্গলবার অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে এবং অন্যগুলো সাগরে পতিত হয়েছে।

ব্রিটিশ সিকিউরিটি ফার্ম আমব্রে জানিয়েছে, মঙ্গলবারের হামলার সময় হুথিদের একটি অস্ত্র বার্বাডোসের পতাকাবাহী যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন একটি মালবাহী জাহাজের বাঁ দিকে সামান্য ক্ষতি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বিস্ফোরক বোঝাই দুটি হুথি কামিকাজে ড্রোন বোটের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষামূলক হামলা চালিয়েছে জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর হুথিরা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।

ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, “এসব নৌযান ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজ ও বাণিজ্যিক জাহাজের জন্য আসন্ন হুমকি সৃষ্টি করেছে।”

পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা হুথিদের সঙ্গে যুদ্ধ করছি না। আমরা হুথিদের সঙ্গে যুদ্ধে যেতে চাই না, কিন্তু তারা যদি হামলা অব্যাহত রাখে তবে আমরা তাদের সক্ষমতা ব্যাহত করা ও হ্রাস করা অব্যাহত রাখব।”

রোববার হুথিদের একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত হেনেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইয়েমেনে হুথিদের অন্তত ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

হুথিরা বলেছে, তাদের লোহিত সাগরের হামলা গাজার জনগণের সাথে সংহতির প্রকাশ এবং তারা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলা সত্ত্বেও তা অব্যাহত রাখার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে।

হুথি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, "ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ নৈতিক, কারণ এর লক্ষ্য গাজায় গণহত্যার অপরাধ বন্ধ করা এবং অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানী প্রবেশের ব্যবস্থা করা। এই লক্ষ্যটি বিশ্বের সমস্ত মুক্ত মানুষের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে।"