ভারতের সুপ্রিম কোর্টের চন্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচন মামলায় পর্যবেক্ষণ, "আদালত গণতন্ত্রের হত্যা মেনে নেবে না"

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ভবন।

ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে চন্ডীগড়ে সম্প্রতি মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিষয়টি পৌঁছেছে দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের সামনে সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি ভোট কক্ষের সিসি টিভি ক্যামেরায় তোলা ভিডিও চালানো হয়। তাতে দেখা যায় প্রিসাইডিং অফিসার কিছু ব্যালট পেপারের উপর আঁকিবুকি করছেন। প্রধান বিচারপতি সেই দৃশ্য দেখে বলেন, "এ তো গণতন্ত্রের হত্যা।"

সোমবার শীর্ষ আদালত ভোট কক্ষের ভিডিও দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলে, "এভাবে কেউ গণতন্ত্রকে হত্যা করবে তা কিছুতেই মানা যায় না। আদালত উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।"

মেয়র নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছিল ইন্ডিয়া জোট। শরিক দল আপ-কংগ্রেস জোটকে পরাজিত করে নির্বাচনে জয়লাভ করে বিজেপি।

চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার, ভোট কক্ষের ভিডিও এবং অন্যান্য নথি আদালতে জমা করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এইসব নথিপত্র পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসে জমা করতে বলা হয়েছে।

গত শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারি চন্ডীগড়ে মেয়র নির্বাচনে পরাজিত আপ প্রার্থী কুলদীপ ধালোরের দায়ের করা মামলায় শীর্ষ আদালত চণ্ডীগড় পুর নিগমের আগামী বুধবারের বোর্ড বৈঠক বাতিল করতে বলেছে।

মেয়র নির্বাচনে সংখ্যার হিসাবে আপ ও কংগ্রেসের প্রার্থী কুলদীপ ধালোরের জেতার কথা ছিল। কিন্তু বিজেপির প্রার্থী তথা বর্তমান মেয়র মনোজ সোনকর বিপুল ব্যবধানে জিতে যান। যদিও আপ ও কংগ্রেসের সঙ্গে ১৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন ছিল। বিজেপির সঙ্গে ছিল ১২ জন কাউন্সিলরের সমর্থন।

ভোট গ্রহণের পর ভোট গণনার সময় দেখা যায় প্রিসাইডিং অফিসার আটটি ব্যালট পেপার বাতিল করে দিয়েছেন। আপ ও কংগ্রেস অভিযোগ করে, প্রিসাইডিং অফিসার নিজেই ব্যালট পেপারগুলি নষ্ট করে দেন। সেই কারণেই জিতে যান বিজেপি প্রার্থী।